দেশজুড়ে: ছাত্র-জনতার রক্ত আর হাজারো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের স্বৈরাচার শাসনের অবসান হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। শেখ হাসিনার পতন ও ছাত্র-জনতার নতুন বাংলাদেশের ১ মাস পূর্ণ হয়েছে গতকাল।
সাম্প্রতিক এ সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন নতুন ঘটনার যেন শেষ নেই। একের পর এক ঘটনা নিয়ে আলোড়ন তৈরী হচ্ছে পৃথিবীজুড়ে । তেমনি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছেন আলোচিত পিনাকী ভট্টাচার্য। যিনি বাংলাদেশে একজন লেখক এবং অনলাইন এ্যাকটিভিস্ট নামে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে সর্বদা শিরোনামে থাকেন। এবার তিনি আলোচনা করেছেন হাসিনা সরকারের ভারতের সাথে চুক্তি নিয়ে। যা অনলাইন পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো –
কত জায়গায় যে হাসিনা আকাম করে রাখছে তার কোন ইয়ত্তা নাই। সবার মুখ বন্ধ রাইখ্যা হাসিনা যা ইচ্ছে তাই কইর্যা গেছে দেশ নিয়া। কেউ কিছু কইতে পারে নাই। এই আমরা কয়জন যারা দেশে থাকি না তারাই কিছু কিছু কইতে পারি। আজ একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়া কথা বলবো। যেই বিষয়টা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের সাথে যুক্ত। দেখবেন হাসিনা কীভাবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।
বিষয়টা ফেনী নিয়ে। আমি কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্ট নিয়ে ভিডিওতে বলেছিলাম, আমাদের ভৌগোলিক উইক পয়েন্ট হচ্ছে ফেনী। এই উইক পয়েন্ট ইন্ডিয়ার চিকেন নেকের চাইতেও নাজুক। আমি এটাও বলেছি ইন্ডিয়া যদি এই ফেনী থেকে চট্টগ্রামকে আলাদা করে দিতে পারে তাহলে সে চিকেন নেকের দুর্বলতাই শুধু কাটাতে পারবে না, সে মূহুর্তে একটা সমুদ্র বন্দর পেয়ে যাবে।
এটা দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা থাকে তাদের বুঝতে হয়। সব রাজনৈতিক নেতৃত্ব বুদ্ধিমান হয়না, আমরা জানি। বেকুব লোকেরাও দেশ চালানোর দায়িত্ব পায়। তারা না বুঝলে দেশের সামরিক বাহিনীকে এটা বুঝতে হয়। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাদেরও বুঝতে হয়। সেভাবেই তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ব্রিফ করতে হয়। আজকে আমরা দেখবো ফেনী অঞ্চলের ভু রাজনৈতিক গুরুত্বকে কীভাবে খাটো করা হয়েছে এবং ভয়ানক সব কাজ করে বিপদজনক পরিকল্পনা করে দেশের সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হয়েছে।
বর্তমানে ভয়ানক পরিস্থিতিতে আমাদের ভৌগলিক অবস্থান। আমাদের বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিষয়ে পিনাকী ভট্টাচার্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন।
ফেনী নদী নিয়ে আগ্রাসী তৎপরতায় নেমেছে ভারত। নদীটির উৎপত্তি তাদের ভূখণ্ডে বলে দাবি করে আসছে ভারত। তাদের সে দাবি ও যুক্তি বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের কাছে বরাবরই ছিল হাস্যকর। বাংলাদেশের পার্বত্য উপজাতিরা জানান, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় নয়, বাংলাদেশের মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি উপজেলার মধ্যবর্তী ভগবানটিলা নামের একটি পাহাড় থেকেই এ নদীর যাত্রা শুরু। পাহাড়ের ছড়া থেকে উৎপত্তির পর নদীটি সীমান্ত পার হয়ে ভারতের ইজেরা গ্রামে প্রবেশ করে এবং সেই গ্রাম থেকেই নদীটি ফেনী নদী নামে পরিচিত। দুই দেশের সীমান্ত ঘেঁষে বেশ কিছুটা অগ্রসর হওয়ার পর নদীটি চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইর আমলীঘাট হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ফেনীর ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী চট্টগ্রামের মিরসরাই হয়ে মিলিত হয়েছে বঙ্গোপসাগরে।
বাংলাদেশ ভারতকে নদী, স্থল ট্রানজিট দিয়ে কি সুবিধা পাবে তার কোন নিশ্চয়তা তো নেই, উপরন্ত বাংলাদেশের মানুষের কষ্টের টাকার ভর্তূকী দিয়ে ভারতীয় নৌযান, ট্রাককে জ্বালানি তেল দিচ্ছে।
এক সময়ে ফেনী নদীতে নামতেও যেখানে ভারতীয় বিএসএফ ভয় পেত। বর্তমানে ফেনী নদীতে নামতে ও তীরবর্তী এলাকা রক্ষার কাজে বাংলাদেশকে বাধা দিচ্ছে বিএসএফ। এক সময় পুরো ফেনী নদীই ভারতের দখলে চলে যেতে পারে বলে স্বাধীনতার পূর্ব থেকে বসবাসকারী নদী তীরবর্তী লোকজনের আশঙ্কা।
সে কারণেই বলেছিলাম যে ভারত হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশের থেকে ভর্তূকী নিয়ে নিতে পারে তখন তারা অভিন্ন নদীর উজান হতে কেন অনুমতি নিয়ে পানি তুলবে? তারা জানে যে হাসিনার সরকার বলতে গেলে প্রায় কিছুই বলবে ন। এই সমন্ধে হাসিনার উপদেষ্টা গওহের রিজভীর সাফ কথা বাংলাদেশ নগদে কি পেল না পেল তার চেয়ে ভারত পেল মানেই দুই দেশের সুসম্পর্ক অগ্রসর হয়েছে।
এসময় নিতি বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করে আরও বলেন, ফেনী ছিল প্রথম বিলোনিয়া সম্মুখযুদ্ধে গণযোদ্ধা ও নিউক্লিয়াস অব ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঐতিহাসিক সামরিক অভিযান। পরে অবশ্য রণকৌশলগত কারণে এই ডিফেন্স আমরা মুছরি নদীর পাড়ে প্রতিষ্ঠা করি এবং দ্বিতীয় বিলোনিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি নিই। সেদিনের সেই সফল উইথড্রয়াল প্রাণ রক্ষা করেছিল প্রায় ৫০০-এর অধিক। গণযোদ্ধা এবং পুরো একটি ব্যাটালিয়ন-সর্বমোট প্রায় ১ হাজার ৭০০ মুক্তিযোদ্ধার। উইথড্রয়াল একটি সামরিক অভিযান। অপারেশন। এই রণকৌশল ও আমাদের সফল উইথড্রয়াণে সেদিন আমাদের সহযোগী বিএসএফ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীও প্রশংসা করেছিল।
অবস্থানের কারণে চেনী বিদেনীয়া যুদ্ধ ছিল মুক্তিবাহিনীও পাক হানাদার বাহিনীর জন্য সামরিক দিক থেকে আমায় এরুত্বপূর্ণ এবং উভয়ের চিৎ একট মর্যাদার লড়াই। ফেনীর বুক চিলেকে মহাসড়ক ও রেলপথ, বখর বাড়তি মন্ত্র গোলাবারুদ ও সৈন্য (তৎকালীন পশ্চিম পবিত্বন প্রেরিত) ফেনীর ওপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঙ্গণে পাঠানো হয়।
একটি allettale টাউট কাজ এখনও হয়. বিলম্বের কারণে, বাংলাদেশ ভারতকে চিটাগং বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে, যা দূরত্ব আরও কমিয়ে দেবে। ফেনী নদীর উপর সেতুর কাজ শেষ হলে। ত্রিপুরা একটি বন্দরের নিকটতম পসিনি রুটটি শেষ করবে। যদিও এটি সিত্তের মাধ্যমে ট্র্যাটিক হ্রাস করতে পারে, কারোর সাথে বিরোধের ক্ষেত্রে এই ধরনের অপ্রয়োজনীয়তা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র : ভিডিওর আলোকে
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |