
চব্বিশের জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে পঞ্চম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন প্রসিকিশন। এই সময় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
আগামী সোমবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে আসামিপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে মামলাটি চূড়ান্ত রায়ের পর্যায়ে উপনীত হবে। শুনানির শেষ পর্যায়ে প্রসিকিউশন বলেন, ‘শেখ হাসিনা এই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা গেছে। এত রক্ত হাতে যার তার কোনো অনুশোচনা নেই, এখনো বিদেশের মাটিতে বসে মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করছেন। এই মামলায় প্রতিটি হত্যার দায়ে একবার করে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে শেখ হাসিনার। সে হিসেবে শেখ হাসিনাকে ১৪শ বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।’
একইভাবে অপর আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালেরও মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন ট্রাইবুনাল। তবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন অপরাধী হলেও তিনি আইন অনুযায়ী সাহায্য করেছেন। তার বিষয়ে ট্রাইবুনাল যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে মতামত দিয়েছেন প্রসিকিশন।
ফ্যাসিস্টের মাস্টারমাইন্ড ও তার দোসররা অবৈধভাবে যে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছে; সেই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জুলাইয়ের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত, নিহতের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান প্রসিকিউশন।
সেনাবাহিনী ছাড়া সমস্ত রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে গণহত্যা চালায় শেখ হাসিনা, আগামীতে কেউ যাতে এমন দুঃসাহস না দেখাতে পারে এবং বিচারপ্রার্থীদের ন্যায্য বিচার প্রতিষ্ঠা হয়; সেই দাবি জানান চিফ প্রসিকিউটর।
সুত্রঃ news24bd.tv