জুলাই অভ্যুত্থানের উত্তাল সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সারা দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে কঠোর অবস্থান নেয়। কিন্তু সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান সরকারের এই অবস্থানে সাড়া না দিয়ে সরাসরি ছাত্র-জনতার পক্ষে অবস্থান নেন এবং কার্যত হাসিনাকে পাত্তাই দেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর দমননীতি সত্ত্বেও সেনাবাহিনী বর্বরতায় অংশ নেয়নি বরং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান ৪ আগস্ট রাতে বিএনপি নেতা মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাকে পরদিন সকালে সেনা ভবনে আসতে বলেন। ৫ আগস্ট সকালে সেনাপ্রধান তার সঙ্গে তিনটি মূল বিষয় আলোচনা করেন। তিনি জানান, তিনি কোনো রক্তপাত চান না, ক্ষমতা নিতে চান না এবং দেশের সংকট সমাধানে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে চান।
সেনাপ্রধানের আহ্বানে সেদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সেনা ভবনে সমবেত হন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকি, অধ্যাপক আসিফ নজরুলসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে সেনাপ্রধান রাজনৈতিক নেতাদের জানান, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন এবং একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা চান। পরে তারা সবাই সহযোগিতার সম্মতি দেন।
দুপুরের পর সেনাপ্রধান ও রাজনৈতিক নেতারা বঙ্গভবনে যান। সেখানে পৌঁছে নেতারা দরবার হলে রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠকে বসেন। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো নিয়ে আলোচনা হয়। সেনাপ্রধান সবার সামনে নিজের নিরপেক্ষ অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং জানান, তিনি কোনো ক্ষমতা চান না।
সূত্র: আমার দেশ
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |