প্রচ্ছদ জাতীয় হানিট্র্যাপ মেঘনা আলমের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল? জানা গেল গোপন তথ্য

হানিট্র্যাপ মেঘনা আলমের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল? জানা গেল গোপন তথ্য

সম্প্রতি দেশজুড়ে তোলপাড় মডেল মেঘনা আলমের হানিট্র্যাপ ইস্যু। বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আলদুহাইনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি গ্রেফতার হোন মেঘনা। অখ্যাত এই মডেল সৌদি রাষ্ট্রদূত এর কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি করেছিলেন। তিনি ও তার সহযোগীরা মিলে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের হানিট্র্যাপে ফেলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। মেঘনাকে আদালতে তোলা হলে কোন প্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীন কিছু অভিযোগ করে বসেন ওল্টো রাষ্ট্রদূত এর বিরুদ্ধে। তার কর্মকাণ্ড এমন যে তিনি যেনো আদালতে দাঁড়িয়েছেনই সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য।

এদিকে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলার অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শুনানিতে বলেন, ‘এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ অ্যাম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। এবং তার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’

কিন্তু আদালতে মেঘনা আলমের সুর যেনো ছিলো পুরোপুরি আলাদা। তার দাবি সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসার সাথে বিয়ে হয়েছে তার। আর মেঘনা নাকি ইসার একটি বাচ্চা নষ্ট করেছে এমন অভিযোগ করেছেন ইসা, মেঘনার কাছে। আদালতকে এমনটিই জানালো এই অখ্যাত মডেল। কিন্তু এসবের পিছনে কোন প্রমাণ হাজির করতে পারেননি তিনি। প্রমাণ ছাড়া একজন রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন বানোয়াট অভিযোগ আনতেও দ্বিধা করেননি মেঘনা। তার আচরণ এমন ছিলো যে, সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হেয় প্রতিপন্ন করার পাশাপাশি পুরো বাংলাদেশকে যেনো বিশ্বের সামনে ছোট করার মিশনে নেমেছেন তিনি। আর সৌদি রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেছেন তাকে হানিট্র্যাপে ফেলে ৫ মিলিয়ন ডলার আদায়ের চেষ্টার। তিনি কখনোই বিয়ে বা বাচ্চা নষ্ট করার বিষয়ে কোন কিছু বলেননি বা অভিযোগও করেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেঘনা আলম শুধু হানিট্র্যাপের সাথেই যুক্ত নয়। বরং তিনি বিভিন্ন সুন্দরী প্রতিযোগীতারও আয়োজক। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময় বড় বড় এমপি মন্ত্রীদের নারী সাপ্লাই দিতেন অখ্যাত এই মডেল এমন অভিযোগও পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে। এতসবের পরেও ভারত পন্থী কিছু মিডিয়া এখনো মেঘনাকে হিরো বানানোর চেষ্টায় মত্ত। এ যেনো ‘মায়ের চেয়ে মাশির দরদ বেশি’ প্রবাদের মতই।

অন্যদিকে মেঘনার আদালতে বলা প্রতিটি কথা আবার হুবহু তুলে ধরেছে দেশের একটি সংবাদমাধ্যম। আদালতের ভিতরের কথা কি করে হুবহু বাইরে প্রকাশ পায় আর এভাবে বাইরে আদালতের কথা তুলে ধরা আদালত অবমাননার সামিল কি না তাও ভাবার বিষয়, এমনটিই বলছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

সূত্র: ইনকিলাব

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।