প্রচ্ছদ হেড লাইন হত্যার পরিকল্পনা বুঝতে পেরে যা করেছিলেন এমপি আনার

হত্যার পরিকল্পনা বুঝতে পেরে যা করেছিলেন এমপি আনার

হেড লাইন: ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা ঘটনায় কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ৭ জনসহ মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখনো হত্যার ঘটনায় মূল কারণ জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

হারুন অর রশীদ বলেন, কলকাতায় বন্ধু গোপালের বাসা থেকে বের হওয়ার পর আনারকে নিয়ে সঞ্জীভা গার্ডেনের সেই ফ্লাটে নিয়ে যায় ফয়সাল। এদিকে সঞ্জীভা গার্ডেনে অপেক্ষায় ছিলেন মোস্তাফিজ ও জিহাদ হাওলাদার। ফয়সাল ও শিমুল ভূঁইয়া আনারকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলে রিসিভ করেন শিলাস্তি রহমান ও মোস্তাফিজুর। হত্যার বিষয়টি আনার যখন বুঝতে পারেন তখন তিনি অনেক কাকুতি-মিনতি করেন, বাঁচার চেষ্টা করেন। পরে দৌড়ে বের হতে চেষ্টাও করেন তিনি। এ সময় মোস্তাফিজুর তার নাকে মুখে ক্লোরোফর্ম ধরে নিস্তেজ করেন। এরপর হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত করা হয়। হত্যার পর ১৯ মে দেশে চলে আসেন তারা।

তিনি আরও বলেন, এমপি আনার হত্যার ঘটনার খবর জানার পর আমরা কিন্তু মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করি। এরপর তানভীর ও শিলাস্তিকে গ্রেপ্তার করি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর আমরা নিজেরা কলকাতায় গিয়ে সঞ্জীভা গার্ডেন পরিদর্শন করি। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফয়সাল ভুঁইয়া ও মোস্তাফিজুর রহমানের নাম জানতে পারি। তারা আত্মগোপনের জন্য ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ডের মাঝখানে পাতাল কালীমন্দিরে লাল ধূতি পরে অবস্থান করছিল। সেখানে তারা হিন্দু পরিচয়ে পাতাল মন্দিরে বাঁচার জন্য লুকিয়েছিল। ফয়সাল ট্রাকচালক ছিলেন। তিনি পাহাড়ে ট্রাক চালাতেন।

ডিবি প্রধান বলেন, এই দুজনকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের একটি টিম ছিল ঝিনাইদহে, সুন্দরবনেও একটি গিয়েছিল। এই দুটি টিম অনেকদিন ধরে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ডে কাজ করছিল। সবদিকে গোয়েন্দা জাল বিছিয়ে আমরা বুধবার (২৬ জুন) দুজনকে গ্রেপ্তার করি। শিমুল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ডের জন্য যা যা করা দরকার গ্রেপ্তারকৃতরা সবই করেছে।