প্রচ্ছদ অপরাধ ও বিচার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে ৩ সন্তানকে কুয়ায় ফেলে হত্যা, পরে যা ঘটলো

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে ৩ সন্তানকে কুয়ায় ফেলে হত্যা, পরে যা ঘটলো

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়েছে এক ব্যক্তি। নিজের ৩ সন্তানকে একের পর এক কুয়ায় ফেলে দিয়ে হত্যা করেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের জালনা জেলার ডোমেগাঁও গ্রামে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সন্তোষ ধোন্ডিরাম তাকওয়ালে। সন্তানদের খুনের পর নিজেই থানায় ফোন করে পুলিশকে খবর দেন ওই ব্যক্তি। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১৩ এপ্রিল) আম্বাদ তহসিলের ডোমেগাঁও গ্রামে। সন্তোষ তার ১২ বছর বয়সী ছেলে সোহম এবং ৮ বছরের মেয়ে শিবানী এবং সাত বছরের দীপালিকে কুয়ায় ফেলে দেন। আম্বাদ থানার অফিসার রঘুনাথ নাচন জানান,

সন্তোষের দুই বিয়ে। এই তিন সন্তানই সন্তোষের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান। প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যাওয়ায় সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল। এই ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। এই খুনের পিছনে কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় সন্তোষ তার শ্যালক এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত সন্তোষ ছত্রপতি সম্ভাজি নগরের কাচনের গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একটি হোটেলে কাজ করতেন। শনিবার সন্তানদের নিয়ে ডোমেগাঁও গ্রামে গিয়েছিল। সেখানেই সন্তানদের খুন করেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে হত্যার অভিযোগ রয়েছে সন্তোষের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে কারমাদ এলাকায় একজন নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রায় ৪ বছর জেলে থাকার পর গত বছর তাকে জামিন দিয়েছিল আদালত। তার স্ত্রী ডোমেগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। আরও জানা গিয়েছে, সন্তোষের সন্দেহ ছিল সে জেলে থাকার সময় স্ত্রী অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। সেটা জানার পর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন সন্তোষ।