কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী সত্য চন্দ্র শীলকে (৫৫) লালমনিরহাটের আদিতমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপ কুমার সরকার ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সরোয়ার পারভেজসহ একটি দল জানতে পারে আসামি সীমান্তবর্তী এলাকা লোহাকুচি বর্ডার হয়ে পালানোর চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, পলাতক ঘাতক সত্য চন্দ্র শীলকে কুড়িগ্রামের পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়াইবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে আসামি কর্তৃক স্ত্রীকে হত্যায় ব্যবহৃত কাঠের হাতলযুক্ত রক্তমাখা ধারালো কুড়াল ও আসামির পরিহিত সাদা রঙের রক্ত মাখা সোয়েটার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলে আসছিল। গতকাল রোববার ভোররাতে স্বামী সত্য চন্দ্র শীল তার স্ত্রী লতা রাণী শীলকে কুঠার দ্বারা তার কাঁধে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। নিহত লতা রাণী শীলের বাবার বাড়ি চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মহাদেব পাট এলাকার শীলপাড়ী গ্রামে। নিহতের স্বামী সত্য চন্দ্র শীল নাগেশ্বরী পৌর এলাকার হেলিপোর্ট কবিরের ভিটা গ্রামের বাসিন্দা।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |