
ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে অংশ নিয়ে ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী এক আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের প্রতি সংহতি জানাতে এই জমায়েতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন—“প্রত্যেক বাংলাদেশির হৃদয়ে একটি ফিলিস্তিন, একটি গাজা, একটি আল-আকসা বাস করে।”
বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, “আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আমাকে আজ এখানে জনসমুদ্রকে শান্ত রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। আমি জানি না আপনারা শান্ত থাকবেন, না উত্তাল হবেন।”
তিনি আরও বলেন, “প্রিয় সুধী, ফিলিস্তিনের জন্য মিছিল করতে গিয়ে আমরা লাঠি, গুঁতা, ধাক্কা অনেক কিছুই সহ্য করেছি। তবু আজকের এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো জনতার উপস্থিতি প্রমাণ করে—বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয় ফিলিস্তিনের সঙ্গে স্পষ্টভাবে সংযুক্ত। আমরা হয়তো ভৌগোলিকভাবে ফিলিস্তিন থেকে দূরে, কিন্তু মানসিকভাবে ও ভালোবাসায় আমরা খুবই কাছাকাছি।”
তিনি উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “বলুন তো—আমাদের হৃদয়ে কি ফিলিস্তিন বাস করে না? আমাদের হৃদয়ে কি গাজা নেই? আল-আকসা কি আমাদের বিশ্বাসের অংশ নয়? একসাথে বলুন—ঠিক না ভুল?”
এরপর তিনি শ্লোগানে উদ্বুদ্ধ করে বলেন, “আসুন, আমরা আজ কণ্ঠ মিলিয়ে আওয়াজ তুলি— নারায়ে তাকবীর! আল্লাহু আকবার! ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ! আল কুদস জিন্দাবাদ!”
তিনি জাতিসংঘের নির্লিপ্ততার সমালোচনা করে বলেন, “আমার ভাই শহীদ হচ্ছে, আর জাতিসংঘ চুপ করে বসে আছে? এর জবাব চাই! আমরা গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জবাব চাই!”
বক্তব্যের একপর্যায়ে আজহারী ইংরেজিতেও প্রতিবাদের স্লোগান দিতে বলেন: “Say it with me—Free Free Palestine! Free Free Al-Quds!”
বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি বলেন, “আমরা শুধু বক্তব্য দিতে আসিনি, আমরা এখান থেকে বার্তা দিতে এসেছি—এই জাতি জেগে উঠেছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শিখেছে, এবং ইনশাআল্লাহ, একদিন ফিলিস্তিনও স্বাধীন হবে।”
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |