
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। আনুষ্ঠানিকভাবে সে উপদেষ্টাদের নাম জানা গণমাধ্যমকে জানায়নি দলটি। তবে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন মনে করেন, ওই উপদেষ্টারা না থাকলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এক ঘণ্টাও ক্ষমতায় টিকবে না।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রাশেদ খাঁন লিখেছেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে যে ৫ জন উপদেষ্টাকে বিভিন্ন দলের প্রতি বায়াসড বলা হয়েছে, এই উপদেষ্টারা সরকারে না থাকলে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যার ১ ঘন্টার জন্যও ক্ষমতায় টিকতে পারবেনা।’
‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের নেতৃত্বাধীন সরকার টিকেই আছে উনাদের বুদ্ধিমত্তা, যোগ্যতা ও কৌশলের উপর। পুরো উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যেও যদি যোগ্যতার বিচার করা হয়, তবে তাদের যোগ্যতা সবচেয়ে বেশি’-যোগ করেন তিনি।
এই উপদেষ্টারা এনসিপির ‘আজ্ঞাবহ’ না হওয়ায় দলটি এখন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘তৎকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি পরামর্শে এই ৫ জন উপদেষ্টাসহ বাকি উপদেষ্টাদের সিলেকশন করা হয়। হয়তো এই ৫ উপদেষ্টাকে এনসিপির আজ্ঞাবহ বানাতে না পেরে ট্যাগিং করা হচ্ছে।’
উপদেষ্টাদের ‘ট্যাগিং’ বন্ধের বার্তা দিয়ে রাশেদ খাঁন আরও লিখেছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টাদের বিভিন্ন দলের হিসেবে ট্যাগিং করা, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এবং সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আমরা উপদেষ্টাদের সমালোচনা করতে পারি যাতে তারা ভুলগুলো শুধরে নেয়, কিন্তু নির্বাচন বানচাল ও সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য শেখ হাসিনা ও ভারত যে চক্রান্ত করছে, সেই ফাঁদে পা দিলে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কেউ রক্ষা পাবে না।’
সূত্র: যুগান্তর











































