
কুমিল্লার দেবিদ্বারে সুদের টাকার জন্য সালিশে এক নারীকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপির ৭ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে ভিডিওটি ভাইরাল হতে থাকে। এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ভানি ইউনিয়নের সূর্যপুর এলাকায় মারধরের ঘটনাটি ঘটে। রোববার মারধরের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে বিএনপির সাত নেতার নাম উল্লেখ করে দেবিদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ভানি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) আবদুল আউয়ালকে। আবদুল আউয়াল ওই নারীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনির ফরাজিসহ আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। মনির ফরাজি কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিরও সদস্য। তিনি ওই সালিশে উপস্থিত ছিলেন।
দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন ইলিয়াস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, মারধরের শিকার ওই নারী স্থানীয় একজনের কাছ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে নেন। পরে টাকা ফেরত দিতে দেরি করায় স্থানীয়ভাবে সালিশ ডাকা হয়। শনিবার সকালে সূর্যপুর এলাকায় ওই সালিশ হয়। সালিশে অভিযুক্ত বিএনপির নেতারা ওই নারীকে সুদে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে চাপ দেন। একপর্যায়ে টাকা না দিতে পারলে তার বাড়ি লিখে দিতে বলেন। এতে ভুক্তভোগী নারী প্রতিবাদ করলে তাকে অভিযুক্ত বিএনপি নেতারা মারধর করেন।
মারধরের সময় কেউ একজন সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করেন এবং পরে তা ফেসবুকে ছেড়ে দিলে ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত বিএনপি নেতারা গা ঢাকা দিয়েছেন। অভিযুক্ত বিএনপি নেতাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ওসি শামসুদ্দিন ইলিয়াস বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা গ্রহণ করে আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।








































