প্রচ্ছদ সারাদেশ সিলেটে পর্যটন কেন্দ্রের পাথর চুরি: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ আসামি ১৭

সিলেটে পর্যটন কেন্দ্রের পাথর চুরি: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ আসামি ১৭

অপরাধ: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র ‘সাদাপাথর’ এলাকা থেকে পাথর চুরির অভিযোগে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকতা শিপলু কুমার দে বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান।

আসামিরা হলেন- উপজেলার রংপুর গ্রামের এরশাদ মিয়া, কালাইরাগ গ্রামের দুলাল মিয়া, উত্তর কলাবাড়ির রাসেল আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান, শাহাবুদ্দিন, কালাইরাগের মঈনুদ্দিন, কালিবাড়ির তোয়াহিদ মিয়া, পাড়ুয়ার সাজ্জাদ মিয়া, কালিবাড়ির রফিক মিয়া, কলাবাড়ির আব্দুল হান্নান, একই এলাকার আমিন রশিদ, কালিবাড়ির বাসিন্দা লায়েক মাহমুদ, উত্তর কলাবাড়ির আল সুবেল, একই এলাকার সমর মিয়া, ভোলাগঞ্জের ইকবাল মিয়া, রাজু আহমদ এবং রাজনগরের আব্দুল আহাদ।

শুক্রবার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান খান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে; প্রমাণ পেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

মামলার বিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফারুকুজ্জামান বলেন, “আমাদের বাড়ির জায়গায় অনেকেই পাথর রাখেন, তাই হয়ত আসামি করা হয়েছে। না হয় কেউ আমার নাম বলেছেন। তবে আমি এগুলোর সঙ্গে জড়িত না।”

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন মামলাটি করিয়েছেন বলে দাবি ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতার। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, “২৮ মে সাদাপাথর এলাকায় চুরির ঘটনায় তদন্ত করতে যান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শিপলু কুমার দে। এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, ফারুকুজ্জামানসহ অন্যরা দীর্ঘদিন ধরে সাদাপাথর পর্যটনসহ আশপাশের কালাইরাগ এলাকা ও বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর উত্তোলন করেছেন।

“পরে সেগুলো কলাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় মজুত করে তারা সিলেটের বিভিন্ন ক্রাশার মিলে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি লুট করছেন। তারা খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন আইন) ১৯৯২ এর ৫ ধারা অপরাধ করছেন।”