প্রচ্ছদ খেলাধুলা সাকিব নাম লেখানোর পরেই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের স্বীকৃতি পেল মেজর লিগ

সাকিব নাম লেখানোর পরেই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের স্বীকৃতি পেল মেজর লিগ

খেলাধুলা: ক্রিকেটের পেছনে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তারই অংশ হিসেবে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহআয়োজক দেশটি। সম্প্রতি আইসিসির সহযোগী সদস্য এ দেশটি বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট মেজর লিগ ক্রিকেটও (এমএলসি) সাড়া ফেলেছে। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টটির একটি আসর মাঠে গড়িয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর মাঠে গড়াবে এর দ্বিতীয় আসর।  প্রথম আসরেই বড় বড় তারকাদের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেলেও বাংলাদেশের কাউকেই সেখানে দেখা যায়নি। তবে টুর্নামেন্টটির দ্বিতীয় আসরে বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি বলিউড কিং শাহরুখ খানের লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সের হয়ে মাঠ মাতাবেন। আগামী ৫ জুলাই থেকে শুরু হবে মেজর লিগ ক্রিকেটের দ্বিতীয় মৌসুম। 

সেই আসরে সাকিব খেলতে যাওয়ার আগেই একটি সুখবর পেয়েছে লিগ কর্তৃপক্ষ। এই লিগকে ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটের মর্যাদা দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। এর ফলে এখন থেকে আইপিএল, বিপিএলের মত এই টুর্নামেন্টও লিস্ট ‘এ’ স্ট্যাটাসের মর্যাদা পাবে। এর আগে এমএলসি টুর্নামেন্টের পরিধি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। আগামী দুই মৌসুমের মধ্যেই টুর্নামেন্টের দল বাড়িয়ে ৮টি করা হবে এবং ক্রমেই দল বাড়িয়ে এটিকে ১০ দলের টুর্নামেন্টে রূপ দেয়া হবে। 

এ অর্জন নিয়ে এমএলসির সিইও বিজয় শ্রীনিবাসন বলেন, আমরা গত বছর মেজর লিগ ক্রিকেটের প্রারম্ভিক মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ক্রিকেট নিয়ে পাগলামি দেখেছি। এখন আমরা বহুল প্রত্যাশিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এমএলসির দ্বিতীয় মৌসুমকে সামনে রেখে উত্তেজনাকর মুহূর্ত সৃষ্টির অপেক্ষায় আছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের ঘরের দুয়ারে একটি অবিস্মরণীয় ক্রিকেটগ্রীষ্ম, আমরা আমেরিকান ক্রীড়া সমর্থকদের হৃদয় দখল করতে চাই আমাদের রোমাঞ্চকর, অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণকারী খেলা দিয়ে, যেটি বিশ্বের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ উদীয়মান টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। 

এমএলসির প্রথম মৌসুমে ৬টি দল সিঙ্গেল রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে অংশ নিয়েছিল। যেখানে দলগুলো সব মিলিয়ে তিন সপ্তাহে ১৯টি ম্যাচ খেলেছিল। দ্বিতীয় মৌসুমে দল না বাড়লেও ম্যাচ বাড়ছে ৬টি। ভবিষ্যতে টুর্মামেন্টটি হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা হবে হবে এবং ১০ দল খেললে প্রায় ১০০টি ম্যাচ খেলা হবে। সে ক্ষেত্রে ইংলিশ ক্রিকেটের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধার সম্ভাবনা থাকছে। এখন এমএলসি আইপিএল ও ইংল্যান্ডের দ্য হানড্রেডের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু ১০টি দল হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেললে এমএলসির পরিধি ১০ সপ্তাহে পৌঁছে যাবে। সে ক্ষেত্রে দ্য হানড্রেডের সঙ্গে এর সূচির সংঘর্ষ বাধবে। এই সমস্যার সমাধান কীভাবে করা হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।