প্রচ্ছদ আইন আদালত সাকলায়েন-পরীমনির সম্পর্ক, কী আছে সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসরের চিঠিতে

সাকলায়েন-পরীমনির সম্পর্ক, কী আছে সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসরের চিঠিতে

দেশজুড়ে :বাংলাদেশের একজন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির সাথে কথিত সম্পর্কের জের ধরে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের’ প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি চিঠি পাঠিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন বেশ আলোচনা চলছে। গত ১৩ই জুন ইস্যু করা চিঠিতে বলা হয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন ও চিত্রনায়িকা পরীমনির মধ্যে ‘অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল এবং তিনি ‘নিয়মিত পরীমনির বাসায় রাত্রিযাপন শুরু করেন’।

বিষয়টি নিয়ে চিত্র নায়িকা পরীমনির সাথে বিবিসি বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তখন তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে চাইনা।”

চেষ্টা করা হলেও পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকায় কর্মরত অবস্থায় নায়িকা পরীমনির সাথে গোলাম সাকলোয়েনের ঘটনাক্রমে দেখা হয় এবং যোগাযোগ আরম্ভ হয়।

২০২১ সালে ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত বোট ক্লাবে বিতণ্ডার জেরে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরীমনি মামলা করেন।

তখন বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনার সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের সাথে পরীমনির জন্মদিন উদযাপন করার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

মি. সাকলায়েন তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ভিডিও ছড়িয়ে যাবার পর মি, সাকলায়েনকে সেখান থেকে বদলি করা হয়। সর্বশেষ তিনি ঝিনাইদহ জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার-এ কর্মরত ছিলেন।

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে পরীমনি ‘ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যা চেষ্টা’ মামলা দায়ের করার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে পরীমনির বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর, ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলায় পরীমনিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিছুদিন পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। উভয় মামলা বর্তমানে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।