অপরাধ: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় সম্পত্তির লোভে মাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে মাটি চাপা দিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ৬ মাস পর কঙ্কালের সন্ধান পেয়েছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কাটাদিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীন গাজীর স্ত্রী রিজিয়া পারভিন ছয় মাস আগে থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। রিজিয়া পারভিন তার জরাজীর্ণ ঘরে একা বসবাস করতেন। অনেক আগে স্বামী মারা গেলে বিধবা রিজিয়া পারভিন দুই ছেলে সন্তান নিয়ে তার ঐ ঘরে বসবাস করতেন।
বড় ছেলে সোহাগ গাজী চার বছর আগে মারা যায়। এরপর তিনি মানসিকভাবে অনেকটা ভেঙে যান। এরপর থেকেই ছোট ছেলে রাসেল গাজী সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য তার মায়ের উপর নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে সোহাগ তার মা রিজিয়া পারভিনকে বাড়িতে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে পাশের ইউনিয়ন বরিশাল সদরের চন্দ্রমোন গ্রামে বসবাস শুরু করেন। রাসেল গাজী ঢাকার একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে এসে তার মায়ের সাথে সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া করত।
শরিবার (১৩ এপ্রিল) রাসেলের স্ত্রী ও শাশুড়ি তার মায়ের ঐ জরাজীর্ণ ঘরে আসে। তারা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলে ঘরের মেঝের উপরে পুরনো কিছু কাপড়-চোপড় পড়ে থাকতে দেখে। ওই কাপড় গুলো তুলে ফেললে ঘরের মেঝের মাটি কিছু স্থানে খোঁড়া অবস্থায় দেখে তখন আশপাশের প্রতিবেশীদের ডাক দেয়। স্থানীয় লোকজন এসে ওই মাটি খুঁড়তে থাকলে রিজিয়া পারভিনের কঙ্কাল দেখতে পায়।
এই ঘটনায় রিজিয়া পারভীনের ভাই, মাসুদ হাওলাদার বাকেরগঞ্জ থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে মাসুদ হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বোনের বড় ছেলে সোহাগ গাজী চার বছর আগে মারা গেলে আমার বোনের উপর তার ছোট ছেলে রাসেল গাজী সম্পত্তির জন্য বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করতো। ওর বাবার রেখে যাওয়া অনেক সম্পত্তি আছে। রাসেল তার স্ত্রীকে নিয়ে পাশের ইউনিয়নে বসবাস করে। বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য মায়ের সাথে প্রায় সময় ঝামেলায় জড়াতো। আমি বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। পুলিশ তদন্ত করে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৪ এপ্রিল বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘ঘরের মধ্যে মেঝেতে কঙ্কাল রয়েছে। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আইনি প্রক্রিয়ায় আগামীকাল কঙ্কাল উদ্ধার করা হবে। তদন্ত করে এই খুনের রহস্য দ্রুত সময়ের মধ্যে বের করা হবে।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |