গাজীপুরের শ্রীপুরে মসজিদ কমিটির সভাপতির কুরবানির গরু দেরিতে জবাই করায় অমানবিক স্বেচ্ছাচারিতা কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৭ জুন) সকালে ১০টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদে এমন ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পরে ওই ইমামকে মৌখিকভাবে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভিযুক্ত সভাপতি।
ওই ইমামের নাম আবুবক্কর সিদ্দিক (৪০)। তিনি স্থানীয় ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া বায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অন্যদিকে ওই মসজিদ কমিটির সভাপতির নাম কফিল উদ্দীন। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠ থেকে মুসল্লিরা বাড়ি ফিরে কুরবারির পশু জবাইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় বেশ কজন মুসল্লি তাদের পশু জবাই করার জন্য ঈমামের সাহায্য চান। এরপর এক মুসল্লির গরু জবাইয়ের জন্য গেলে মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীন তার কুরবানির পশু (গরু) জবাইয়ের জন্য ইমামকে ফোন দেন। এ সময় ইমাম পাশের আরেক বাড়ির পশু জবাই করে আসছেন বলে জানালে ক্ষিপ্ত হন তিনি। পরে সভাপতির গরু জবাই করতে ইমাম তার কাছে গেলে তিনি (সভাপতি) রেগে মারধর শুরু করেন ইমামকে। এ সময় আশপাশের অন্যরা এগিয়ে এসে ইমামকে উদ্ধার করেন।
মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, ঈদের নামাজ শেষে পশু কুরবানির প্রস্তুতির একপর্যায় পাশের ইদ্রিস আলীর গরু জবাইয়ের জন্য ডাকলে সেখানে চলে যাই। এ সময় সভাপতি (কফিল) ফোন করেন তার গরু জবাই করতে। একটু দেরি করে তার কাছে আসলে তিনি ক্ষিপ্ত হন ও তার অনুমতি ছাড়া অন্য গরু জবাই করার অপরাধে আমাকে গালমন্দ করেন। আমার শরীরেও হাত তোলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাকে চাকরি ছাড়তে বলা হয়েছে, কিন্তু আমি এখন নিজে থেকেই চাকরি ছেড়ে দেবো। আমাকে মারধরের বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েছি। শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মণ্ডল বলেন, ‘ইমাম আমার কাছে এ বিষয়ে বিচার দিয়েছেন। ঈদের দিন ইমামকে মারধর করা জঘন্য কাজ। এমন ন্যক্কারজনক কাজের জন্য উপযুক্ত শাস্তি পাওয়া উচিত। এদিকে, সভাপতির এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য নিন্দা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমামের চাকরি বহাল করার দাবিও জানান তারা। শ্রীপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) সুজন কুমার পণ্ডিত বলেন, এমন বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |