প্রচ্ছদ সারাদেশ সন্তান জড়িয়েছেন কিশোর গ্যাংয়ে, ত্যাজ্য করলেন ইউপি সদস্য বাবা

সন্তান জড়িয়েছেন কিশোর গ্যাংয়ে, ত্যাজ্য করলেন ইউপি সদস্য বাবা

সারাদেশ: কমলনগরে বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডসহ কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ায় সন্তানকে ত্যাজ্য করেছেন এক পিতা। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে হাজির হয়ে ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হলফনামার মাধ্যমে এফিডেভিট করে ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করেন তিনি।

ভুক্তভোগী পিতা মো. সিরাজুল ইসলাম উপজেলার ৩ নম্বর চরলরেন্স ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) সদস্য। ঘোষিত ত্যাজ্যপুত্র মো. সাগর হোসেন (২২) তার জ্যেষ্ঠ সন্তান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম মাহমুদ এফিডেভিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এফিডেভিট সূত্রে জানা যায়, সাগর হোসেন সিরাজুল ইসলামের ঔরসজাত সন্তান। সে পিতা-মাতার অবাধ্য হয়ে সমাজের অসৎ চরিত্রের লোকদের সহিত আড্ডা দিয়ে নৈতিক চরিত্রের অধপতন ঘটায়। এছাড়া কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িয়ে পড়ে ইতোমধ্যে পিতা সিরাজুল ইসলামের কয়েক লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করাসহ নানা সম্মানহানিকর কাজে লিপ্ত।

এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে সিরাজুল ইসলাম কিছু দিন আগে নিজেই সন্তান সাগরের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সন্তান সাগর কিছু দিন কারাগারে থাকার পর সবকিছু ভুলে ভালো হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে পিতা নিজেই সন্তানের জামিন করান। কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে ফের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সহিত জড়িয়ে গিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে বহু অপরাধ কর্মকাণ্ড চালায় সে।

এক পর্যায়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে ধারাল দা ছেনি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয় সে। সর্বশেষ পরিবারের কাউকে না জানিয়ে একজন বয়স্ক ও দুই সন্তানের জননীকে বিয়ে করে। এমতাবস্থায় নিজের ও পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করেন সিরাজুল।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছেলেকে পড়ালেখা, ব্যবসাসহ সব রকম কাজ করানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে সব কিছু নষ্ট করে বিপথগামী হয়ে পড়েছে। পরিবারের কেউ তার কাছে নিরাপদ নয়। সম্প্রতি দুই সন্তানের জননী বয়স্ক এক নারীসহ ৪টি বিয়ে করেছে সে। সমাজে আমার সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে তাকে ত্যাজ্য করে দিয়েছি।

আজ থেকে তার সকল ধরনের কর্মকাণ্ড, দায়-দেনা ও যে কোনো ধরনের অপরাধের জন্য আমি ও আমার পরিবারের কেউ দায়ী থাকবে না। এখন থেকে সে আমার সন্তান নয়, বলেন তিনি।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।