প্রচ্ছদ সারাদেশ সনাতন ধর্মের বাল্যবিবাহ দিতে গিয়ে দণ্ড পেলেন মুসলিম কাজী

সনাতন ধর্মের বাল্যবিবাহ দিতে গিয়ে দণ্ড পেলেন মুসলিম কাজী

দেশজুড়ে: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বী কিশোর-কিশোরীর বাল্যবিবাহ দিতে গিয়ে বরের স্বজনদের সঙ্গে দণ্ডিত হয়েছেন এক মুসলিম কাজী।

গত বুধবার রাতে উপজেলার বুধহাটায় কিশোরীর বাড়িতে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর।

দণ্ডপ্রাপ্ত কাজী মাওলানা আলাউল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের মুসলিম নিকাহ রেজিস্টার।

বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আলমগীর হোসেন জানান, বুধবার রাতে বুধহাটার সনাতন ধর্মাবলম্বী একটি পরিবার কয়রা উপজেলার এক কিশোরের সঙ্গে তাদের ১৩ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ের আয়োজন করে।

সেখানে স্ট্যাম্পে লেখালেখির মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন মাওলানা আলাউল ইসলাম।

বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মুসলিম নিকাহ রেজিস্টার, বিয়ের পাত্র-কনে ও তাদের অভিভাবকদের আটক করে পুলিশ।

এএসআই আলমগীর আরও জানান, বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরকে অবহিত করলে দ্রুত তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে বাল্যবিবাহের কাজে সহযোগিতার জন্য মুসলিম নিকাহ রেজিস্টার মাওলানা আলাউল ইসলাম ও বরের দুই অভিভাবক প্রশান্ত তরফদার, কিরণ বৈরাগীকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইনে মোট ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়া পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত ‘বিয়ে করবে না বা দিবে না’ বলে মুচলেকা দিয়ে রেহাই পান কিশোর-কিশোরী ও কিশোরীর বাবা মা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, আদালত সহকারীবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান এএসআই আলমগীর।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।