এক ভারতীয় সাংবাদিক শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “অন্য এক দেশের বিতাড়িত মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যিনি তার ভরণপোষণ কিসের ভিত্তিতে চালিয়ে যাচ্ছেন?” এরপর তিনি শেখ হাসিনাকে নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বহু মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, এবং যদি তাকে ফেরত পাঠানো হয়, তবে তার নিরাপত্তা ও জীবন নিয়ে বড় ধরনের ঝুঁকি থাকতে পারে।”
তিনি আরো বলেন, “ভারত কেন শেখ হাসিনার নিরাপত্তার প্রতি আগ্রহী, আমি বুঝতে পারছি না। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, শেখ হাসিনা ভারতের কর্মচারী ছিলেন?” এর পর তিনি এই কথাগুলো বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে ১৫০০ মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন। ২০১৩ সালের অগ্নিসংযোগে ১ বছর বয়সী এক হিন্দু মেয়েকে স্নাইপার গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, তখন মানবিকতার কোথাও দেখা যায়নি।”
এই ভারতীয় সাংবাদিক তার বক্তব্যে আরো যোগ করেন, “শেখ হাসিনার বিচার হওয়া উচিত, এবং তা বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত। তবে, যদি ভারত সরকার তাকে আশ্রয় দেয়, তা আমার দেশের জন্য একটি খারাপ সিদ্ধান্ত হবে। শেখ হাসিনার সঙ্গে আমাদের দেশের সম্পর্কের মধ্যে যে পক্ষপাতিত্ব রয়েছে, তা বাংলাদেশের জনগণের জন্য ক্ষতিকর।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন ও বিরোধী কণ্ঠস্বর দমনের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ভারতের জনগণের প্রতি তাদের সরকারকে পক্ষপাতিত্ব করার কোনও প্রয়োজন নেই।”
তিনি এক পর্যায়ে বলেন, “শেখ হাসিনার পরিবার লন্ডনের এমপি, এবং সেই সরকারও তাকে আশ্রয় দেয়নি, তাহলে ভারত কেন তাকে আশ্রয় দেবে? আমি বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত, তবে কোনও পক্ষপোষণ বা ঝুঁকি না নিয়ে।”
এছাড়া তিনি সাংবাদিক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, “এমন কিছু সংবাদ প্রচারিত হয়েছে যা আসলে ভুল তথ্য। এটি মিডিয়ার মর্যাদাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করা ঠিক নয়।”
তার মতে, ভারতের এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকা উচিত, কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করা উচিত নয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |