শীতকালে গোসল করতে যাওয়ার কথা শুনলে অনেকের গায়ে কাটা দিয়ে উঠে। না পারতে তারা গোসলের ধারে কাছেও যান না। হাত পা ধুয়ে কাপড় পালটে নেন। কিন্তু এর ক্ষতিকর দিকগুলো ভাবেন না। শীতে নিয়মিত গোসল না করার কয়েকটি ক্ষতিকর দিক রয়েছে। চলুন সেগুলো জেনে নিই
রোগজীবাণু
প্রথমেই আসে রোগজীবাণুর বিষয়। সারা দিনে আমরা নানা ধরনের জিনিসের সংস্পর্শে আসি। সেলফোন, কি বোর্ড, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, টাকাসহ আরো নানা জিনিস।
এগুলো খুব সহজেই এসব থেকে জীবাণু আমাদের হাত থেকে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও চলে যায়। তার ওপর যদি কোথাও কোন কাটা ছেঁড়া থেকে থাকে, তাহলে সেখান থেকে জীবাণু রক্তের সাথে মিশে খুব সহজেই আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। তাই দিন শেষে গোসল না করলে একটা বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকেই যায়। ঠাণ্ডার ভয়ে গোসল না করে এমনিতেই জ্বর, সর্দি-কাশি বাধিয়ে ফেলেছেন। কারণ এই সিজনে এইসব অসুখের জীবাণু চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। তাই প্রতিদিন গোসল করা উচিত।
ত্বকের সমস্যা
প্রতিদিন গোসল না করলে সারা দিনের ধুলাবালি, ঘাম শরীরে জমে যায়। যাদের একনি সমস্যা আছে তাদের জন্য এ বিষয়টি আরো খারাপ হয়ে যায়। একনি ছাড়াও অন্যান্য ত্বকের সমস্যার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। একনে, ব্রণ থেকে হয় ব্লেমিশেস।
ত্বকে কালচে ময়লাভাব সৃষ্টি
পর পর কয়েকদিন গোসল না করলে ঘাম আর ধুলা মিশে ত্বকে একটা কালচে ময়লাভাব দেখা যায়। এটা যতই লোশন মাখা হোক না কেন থেকেই যাবে। একবার এটা হয়ে গেলে তখন প্রচুর সাবান ঘষাঘষি ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। এরচেয়ে ভালো প্রতিদিন না হোক, অন্তত একদিন পরপর হলেও গোসল করা।
ঘামের দুর্গন্ধ
অনেকে বলেন শীতে তো আমরা ঘামি না, তাই শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ আসবে কোথা থেকে? বিষয়টা মোটেও এরকম নয়। শীতে আমরা গরমের সিজনের মত ঘামি না ঠিক। কিন্তু আমাদের ত্বক ও চুলে থাকা ব্যাকটেরিয়া শরীরের প্রোটিন ও ফ্যাটি অ্যাসিডকে মেটাবলাইজ করে। যেটা আমাদের শরীরে এক ধরনের দাগ তৈরি করে। অনেক সময় আমরা যেটি হয়তো নিজেরা টের পাই।
শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি
স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি শীতে নিয়মিত গোসল না করার অন্য সমস্যাও আছে। শীত শীত করে গোসল না করলে আপনার আরো বেশি ঠাণ্ডা লাগবে, কাজে জড়তা আসবে, ঝিমিয়ে পড়বেন, এনার্জি লেভেল কমে যাবে। সারা দিনের পরে একটু উষ্ণ পানি দিয়ে গোসল আপনার শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দুটোই দূর করবে। মন ভালো থাকবে এবং অনেক বেশি রিফ্রেশিং ফিল করবেন।
শীতে নিয়মিত গোসল করার কিছু টিপস
১. পুরনো আমল থেকে চলে আসছে গোসলের আগে তেল মালিশের পদ্ধতি। লোশনের যুগে আমরা সেসব ভুলেই গেছি। তেল মালিশে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। সেই সঙ্গে ত্বকও ময়েশ্চারাইজড হয়ে যায়।
২. এছাড়াও গোসলের আগে হালকা ব্যায়াম করে নিতে পারেন। এতে বেশ ভালো ওয়ার্ম আপ হবে। শরীরের জড়তা দূর হবে। তখন নিজে থেকেই গোসল করার ইচ্ছে হবে।
৩. গোসলের আগে তোয়ালেকে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে গরম করে পেঁচিয়ে রেখে দিন। গোসল শেষে এই গরম তোয়ালে আরামদায়ক একটা অনুভূতি দেবে।
সূত্র : সাজগোজ
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |