বিশ্বজুড়েই বিলাসবহুল গাড়ির তালিকায় শুরুতেই রয়েছে ব্রিটিশ ব্র্যান্ড রোলস রয়েস। ২০২২ সালের ৬ জুলাই এমনই একটি গাড়ি শুল্কায়নের আগেই চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে ঢাকায় আনেন আমদানিকারকরা। পরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ২৭ কোটি টাকা মূল্যের গাড়িটি জব্দ করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। নথি ঘেটে দেখা যায় গাড়িটি আনার সময় তথ্য গোপন করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটস।
পরে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয় ৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে আরও ২৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা শুল্ক-কর পরিশোধ করে গাড়িটি খালাস করার আদেশ দেয়া হয়। তবে জরিমানার অর্থ না দিয়ে জেড অ্যান্ড জেড আপিল করে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রাইব্যুনালে। সেখানেও আইনি লড়াইয়ে হেরে যায়।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, কর্মচারী বা ফ্যাক্টরির কাজে সংশ্লিষ্ট হলে তারা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবেন। আমদানিকারকরা এমনটা বলে গাড়ি ইমপোর্ট করার পর কাস্টমস দেখতে পায় এটি রোলস রয়েস। এই গাড়িতো কোন ভাবেই মাল প্রোডাকশন বা সরবরাহের কাজে সম্পৃক্ত না।
এ আদেশে সন্তুষ্ট না হয়ে হাইকোর্টে যায় জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটস। তবে একাধিক আইনি প্রশ্নের উদ্ভব হওয়ায় মামলা শুনতে বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি।
মামলার চূড়ান্ত শুনানিতে দেশসেরা আইনজীবীদের নিয়োগ দিয়েছে জেড অ্যান্ড জেড ইনটিমেটস। যে কোনদিন রায় দিয়ে রোলস রয়েসটির চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণ করবেন হাইকোর্ট।
মেহেদী হাছান চৌধুরী আরও বলেন, যদি পেনাল্টির ৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ৫ শতাংশ যদি গ্যারান্টি জমা দেয়া হয় তবেই শুনানিতে আপিল গ্রহণ করা হবে ট্রাইব্যুনালের এমন আদেশের পর চ্যালেঞ্জ করে তারা হাইকোর্টে আসেন। বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়েছে। যে কোনদিন রায় ঘোষণা করা হবে। জব্দ করা রোলস রয়েসটি এখন ঢাকা কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামে রয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |