২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিকসহ সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুক্র ও শনিবার দুই দিন করে সাপ্তাহিক ছুটি পালন করছে। ২০২২ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে নতুন কারিকুলামের পাইলটিংয়ের জন্য এমন সিদ্ধান্ত দেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনের পর শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দায়িত্ব নেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে শনিবার স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া ফেসবুকে সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে এবং শিক্ষামন্ত্রীর নওফেলের ছবি যুক্ত করে প্রচার করা হচ্ছে যে শনিবার খোলা থাকবে স্কুল।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট খুঁজে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে জানা যায়নি। এছাড়া গত কয়েক দিনে ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের দেয়া বিভিন্ন বক্তব্য যাচাই করা হয়। সেখানেও শনিবার স্কুল বন্ধ থাকার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলামের সমালোচনা হলেও এর বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। যে সিদ্ধান্তগুলো শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে নেয়া হয়েছে সেসব সমালোচনা নেয়ার সক্ষমতা রাজনীতিবিদদের থাকতে হবে। আশা করি আমাদের সক্ষমতা আছে। সমালোচিত হব এ ভয়ে যে সিদ্ধান্ত যথার্থ এবং সঠিক সেটা নেব না-তা হতে দেয়া যায় না। দৃঢ়ভাবে কিছু সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন আমাদের অবশ্যই করতে হবে।
নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে সমালোচনাই বেশি হচ্ছে জানালে তিনি বলেন, নেগেটিভ জিনিস ভাইরাল হয় বেশি। এর প্রতি আমাদের দৃষ্টিও বেশি থাকে। আবার অজান্তে নিজেরাই অনেক সময় এসব প্রচারণায় জড়িয়ে পড়ি। এটা মোকাবিলা করা সারাবিশ্বের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে ১৪ জানুয়ারি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, নতুন কারিকুলাম হঠাৎ করে আসেনি। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এসব আলোচনা-সমালোচনা মাথায় রেখেই সেখানে দুর্বলতা থাকলে, সমস্যা থাকলে সেটা সমাধান করা হবে। শিক্ষায় একটা ধারাবাহিকতা থাকে। এখানে নতুন করে কিছু করার অবকাশ নেই। সেই ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে রূপান্তর ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। স্মার্ট সিটিজেন তৈরির জন্য স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম আমাদের প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।
এর আগের দিন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইরাব) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১০-এর শিক্ষানীতির আলোকে নিম্নমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকে অবৈতনিক অথবা স্বল্পমূল্যে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে। টাকার জন্য কোনো শিক্ষার্থী যাতে নিম্নমাধ্যমিক থেকে ঝরে না পড়ে, সেই প্রয়াস থাকবে আমাদের।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি সঠিক নয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |