প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীয় নাম ঘোষণা

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীয় নাম ঘোষণা

২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিক মারিয়া কোরিনা মাচাডো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় তার নাম ঘোষণা করা হয়।

শান্তি পুরস্কারকে নোবেলের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে দেখা হয়। ২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এটি জিতেছেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই নোবেল পান—তার পর থেকেই আর কেউ তার চেয়ে কম বয়সে নোবেল পায়নি। অন্যদিকে, ১৯৯৫ সালে বয়সে প্রবীণতায় জোসেফ রটব্লাট নোবেল পান। এখন পর্যন্ত মোট ৩১টি প্রতিষ্ঠান নোবেল শান্তি পুরস্কারের সম্মান পেয়েছে। গত বছর জাপানের সংগঠন নিহন হিদানকিওকে পুরস্কৃত করা হয়; তারা পারমাণবিক বোমা হামলার বেঁচে থাকা মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করে এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত পৃথিবীর জন্য কাজ করে আসছে।

গতকাল ট্রাম্প ওবামা সম্পর্কে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘ওবামা নোবেল পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি জানতেন না কেন। ওবামা আমাদের দেশ ধ্বংস করেছে।’ ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি “আটটি যুদ্ধ” বন্ধ করেছেন এবং সেই কারণেই নোবেল পাওয়ার দাবি রয়েছে—তবে নোবেল কমিটি ফলাফলে তার সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।

এবারের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছে, যার মধ্যে ২৪৪ জন ব্যক্তি এবং ৯৪টি সংস্থা ছিল। ট্রাম্প ছাড়াও অন্য সম্ভাব্যদের মধ্যে ছিল সুদানের ইমারজেন্সি রেসপন্স রুমস এবং কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস, যারা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করে আসছে।

প্রতিটি নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। বিজয়ীরা পাচ্ছেন একটি সোনার পদক ও ডিপ্লোমা।

গত বছর (২০২৪) নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিল জাপানের অ্যান্টি-নিউক্লিয়ার সংগঠন নিহন হিদানকিয়ো, যা হিরোশিমা ও নাগাসাকির পরমাণু বোমা হামলার বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের এক তৃণমূল আন্দোলন।