
শরীয়তপুরে এক নারীর রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রিপন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের হোসনাবাদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার রিপন মোল্লা শরিয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামের মৃত সোনাই মোল্লার ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
র্যাব জানিয়েছে, ওই নারীর ঘরে থাকা ছয় ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকার লুট করতেই তাকে হত্যা করা হয়।
র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, গত ২১ অক্টোবর দুপুরে শরিয়তপুর শহরের রূপনগর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে নাজমা বেগম (৩৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হয়। হত্যার পর ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই দ্বীন ইসলাম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে নেমে র্যাব প্রথমে একই বাসার ভাড়াটিয়া বিল্লাল হোসেনকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্যে পরে মূল অভিযুক্ত রিপন মোল্লাকে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানের সময় রিপনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় লুট হওয়া এক জোড়া স্বর্ণের বালা, নগদ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে শরিয়তপুরের পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব জানায়, নিহত নাজমা বেগম তিন বছর আগে স্বামী বাশার কাজীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর ছেলে নিরব কাজীকে নিয়ে রূপনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। নিরব পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
ঘটনার দিন সকালে নিরব স্কুলে যাওয়ার পর হত্যাকারীরা বাসায় প্রবেশ করে নাজমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট করে। পরে স্কুল শেষে বাসায় ফিরে এসে মায়ের লাশ দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং খবর দেন পুলিশকে।
র্যাব-৮ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও একজন সহযোগীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র : যুগান্তর










































