প্রচ্ছদ জাতীয় শনিবার স্কুল বন্ধ থাকবে নাকি ক্লাস চলবে! স্পষ্ট জানা গেল

শনিবার স্কুল বন্ধ থাকবে নাকি ক্লাস চলবে! স্পষ্ট জানা গেল

বাড়িভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের কারণে ক্লাস বর্জন করায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে দিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী চারটি শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত না মানলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী জোট।

আন্দোলন প্রত্যাহার ও শনিবার ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ফেসবুক লাইভে স্পষ্ট বার্তা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।

অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী জানান, ২০ নভেম্বর থেকে স্কুল-মাদ্রাসায় বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। এর আগে শিক্ষকেরা হাতে পাচ্ছেন মাত্র চারটি শনিবার। তাই তিনি সবাইকে এই চারটি শনিবার অবশ্যই ক্লাস নেওয়ার আহ্বান জানান।

শিক্ষকদের এই ত্যাগের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্দোলনে এ দেশের জনগণ শিক্ষকদের পাশে ছিল। তাদের ঋণ পরিশোধ করতে, তাদের সন্তানদের পাশে থাকা শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

অনেকের মাঝে এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে শনিবার ক্লাস খোলা রাখলে তা ভবিষ্যতে বাধ্যতামূলক হয়ে যেতে পারে। এই বিষয়ে শিক্ষক নেতা আজিজী বলেন, শনিবার ক্লাস খোলা রাখার বিষয়ে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, শনিবার খোলা রাখলে, পরে খোলা রাখতে হবে নাকি। এটা নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই, কারণ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত দেয়নি, আমরাই বিবেকের তাড়নায় শনিবার ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শিক্ষকেরা সরকারকে বোঝাতে চান যে তাদের দাবির প্রতি যেমন অনড়তা আছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের প্রতিও তাদের ভালোবাসা রয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এখন ত্যাগ স্বীকার না করলে, ভবিষ্যতে আন্দোলনে গেলে জাতি আর পাশে দাঁড়াবে না।

দেলোয়ার হোসেন আজিজী কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত কোনো শনিবার বন্ধ থাকবে না। এটা আমাদের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জোটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। যারা শনিবার খোলা রাখবেন না, তা তদারকি করা হবে। যারা এ কাজ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে জোটের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষকদের মূল দাবি ছিল বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ বৃদ্ধি, যেখানে সরকার দুই দফায় ১৫ শতাংশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে (নভেম্বর থেকে ৭.৫ শতাংশ এবং ২০২৬ সালের জুলাই থেকে বাকি ৭.৫ শতাংশ)। যদিও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এই প্রসঙ্গে আজিজী বলেন, যদি সরকার তাদের সিদ্ধান্তের পর এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় (যা শিক্ষকদের স্বার্থের পরিপন্থী), তবে তারা ছয় লাখ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে মন্ত্রণালয় ঘেরাও করবেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, “আমাদের মাঝে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, সরকার আমাদের পাশ কাটিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।”