প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক রেড এলার্ট, কী হচ্ছে সীমান্তে

রেড এলার্ট, কী হচ্ছে সীমান্তে

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে আবারও উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এখন রাখাইন রাজ্যে কঠোর নিরাপত্তা ও সামরিক নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে।

সম্প্রতি আরাকান আর্মি রাখাইনে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী পুরুষ ও ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী নারীদের রাজ্য থেকে বের হওয়ার ওপর কড়া বিধিনিষেধ দিয়েছে। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাহিনীতে বাধ্যতামূলক সদস্য নিয়োগ শুরু হয়েছে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে দুই মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে দুই বছরের জন্য বাহিনীতে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, শুধুমাত্র গুরুতর চিকিৎসাজনিত কারণেই রাজ্য ছাড়ার অনুমতি মিলতে পারে—তাও আরাকান আর্মির নিজস্ব স্বাস্থ্য বিভাগের শংসাপত্র সাপেক্ষে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই কড়াকড়ির মাধ্যমে আরাকান আর্মি তাদের বাহিনী সম্প্রসারণ এবং নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার কৌশল বাস্তবায়ন করছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আরাকান আর্মির বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু হয়। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে রাখাইনের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টির নিয়ন্ত্রণ নেয় এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকাগুলোর অধিকাংশই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

গণমাধ্যম ইরাবতিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সাম্প্রতিক নিয়োগ প্রক্রিয়া ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা একটি বড় ধরনের সংঘাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে। রাখাইনে সংঘর্ষ ও সেনা মোতায়েন বাড়ার আশঙ্কায় বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়ও রেড এলার্ট জারি রয়েছে।

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়িয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর জনগণের মাঝেও উৎকণ্ঠা বেড়েছে। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি অবনতি হলে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বা নিরাপত্তা হুমকি দেখা দিতে পারে।