
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় শুনে আদালতে ‘জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত সাবেক গাড়িচালক আবদুল মালেকের স্ত্রী নার্গিস বেগম।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেনের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। ওই রায়ে আবদুল মালেককে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিন আসামি আবদুল মালেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আর জামিনে থাকা নার্গিস আক্তারও আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণার আগে কাঠগড়ায় স্বামীর পাশে গিয়ে দাঁড়ান নার্গিস।
দুপুর ১টার দিকে বিচারক জাকারিয়া হোসেন রায় ঘোষণা করেন। মালেক ও নার্গিসকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে তাদের। এ ছাড়া রায়ে আসামিদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এক কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৫০ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান দুদক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা।
রায় শুনে স্বামীর হাতের ওপর হাত রেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন নার্গিস। একপর্যায়ে তিনি ‘জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন’। পরে তাকে কাঠগড়া থেকে বেঞ্চে বসানোর জন্য নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু সেখানে নেওয়ার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নার্গিস বেগম। পরে দুই নারী পুলিশ সদস্য ও তার মেয়ে তাকে বেঞ্চে নিয়ে বসান।তখনও আদালতের বিচারকাজ চলছিল।
এ সময় বিচারকের উদ্দেশে মালেক বলেন, তার স্ত্রীর (নার্গিস) পেসমেকারের সমস্যা। মাঝে মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সাজাটা কমিয়ে দিন। তবে এ বিষয়ে সাড়া দেননি বিচারক।
পরে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশের মালেক বলেন, ওকে একটু বসতে দিন। ৪-৫ মিনিট পরে ঠিক হয়ে যাবে।
কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফেরার পর নারী পুলিশ সদস্যরা নার্গিস বেগমকে কারাগারে নিয়ে যান।