প্রচ্ছদ জাতীয় রায় এসেছে, রোগও ধরেছে—কিন্তু লড়াইয়ে তিনি অটল!

রায় এসেছে, রোগও ধরেছে—কিন্তু লড়াইয়ে তিনি অটল!

সব মানুষের চোখে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া—এই নামটি আজ আর কেবল একজন রাজনীতিককে নির্দেশ করে না। এটি এখন এক ইতিহাস, এক প্রেরণা, এক অনমনীয় আত্মত্যাগের প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, একজন নারী যিনি স্বামীর মৃত্যুর পর দলে নেতৃত্ব গ্রহণ করে এক অসম যুদ্ধ শুরু করেন। রাজনীতির কাঁটাবন, ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রক্ষমতার চাপে তিনি কখনো পিছু হটেননি। রাজপথে উত্তপ্ত পথ মাড়িয়ে গৃহবধূ থেকে হয়েছেন বাংলাদেশের মা, মাটি ও মানুষের নেত্রী, প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

আজ সব মানুষের চোখে আপসহীন এই নেত্রী বার্ধক্য ও জটিল রোগে আক্রান্ত। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন, চিকিৎসকদের মতে অবস্থা ‘লাইফ সাপোর্ট’-এর দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো—এই শারীরিক দুর্বলতাও তাঁর মনোবলের সামনে অসহায়। রায় এসেছে, মামলা এসেছে, বন্দিত্ব এসেছে—তবু কখনো আপস নয়, নতজানু নয়। এত নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন, কিন্তু এত উন্মুক্ত বাংলাদেশে বক্তব্য দিতে এসেও প্রকাশ করেছেন শুধুই রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর সহিষ্ণুতা।

সব মানুষের চোখে আপসহীন প্রতিরোধের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া কেবল নিজের লড়াই নয়, একটি ধারাবাহিক রাজনৈতিক দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি, একটি অবারিত অনুপ্রেরণার বাতিঘর, দেশ গড়ার লড়াই, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আলেখ্য এক উপাখ্যান। যখন রাজনীতি হয়ে উঠেছে বাণিজ্যের বস্তু, অনেকেই সুবিধাবাদ আর আপসের পথে হাঁটছেন—তখন তিনি হয়ে উঠেছেন এক অনড় ‘না’-এর প্রতীক। তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় যেন বলে—রাজনীতি তাঁর কাছে ছিল অস্তিত্বের লড়াই, আদর্শের সংগ্রাম। জীবনের শত বাঁধার মুখেও নিজের অবস্থান থেকে, নীতি ও আদর্শের জায়গা থেকে এক চুলও তাঁকে সরাতে পারেনি।

সামনে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়ছে হৈ-হৈ করে। অথচ এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত নেত্রী—সব মানুষের চোখে আপসহীন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায়। তাঁকে রাজপথে দেখতে চাওয়া অবারিত বাসনা মানুষের, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে দেশের মানুষ এখনও পাশে চায় তাঁদের সবচেয়ে প্রিয় নেত্রীকে।

আজ সব মানুষের চোখে আপসহীন এই নেত্রীর নাম উচ্চারণ মানেই এক দীর্ঘ সংগ্রামের স্মরণ। তাঁর নীরব যুদ্ধ, অসুস্থ শরীরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই এবং মননের অটলতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই মহীয়সী নারী হার মানেন না। হারেন না ক্ষমতার কাছে, হারেন না অবিচারের কাছে, চালিয়ে যান মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম, মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই।

রাজনীতিতে মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু মতপ্রকাশে শালীনতা এক অসামান্য গুণ। সব মানুষের চোখে আপসহীন বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন সেই শালীনতার মূর্ত প্রতিচ্ছবি। রাজনীতির কঠিনতম সময়ে, নিপীড়নের মুখেও তিনি কখনো কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করেননি। তাঁর বক্তৃতা, সংবাদ সম্মেলন কিংবা পার্লামেন্টে বক্তব্য—সবখানেই ছিল গঠনমূলক চিন্তা, মার্জিত শব্দচয়ন ও একজন গণতান্ত্রিক নেত্রীর মতো আচরণ। আজকের রাজনীতিতে যা এক বিলুপ্তপ্রায় মূল্যবোধ।

আমরা জানি না এই যুদ্ধ কোথায় গিয়ে শেষ হবে। তবে ইতিহাস একদিন নিঃসন্দেহে লিখে রাখবে—সব মানুষের চোখে আপসহীন বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন এই সময়ের সবচেয়ে সাহসী, অটল এবং সংগ্রামী রাজনৈতিক প্রতিকৃতি। যিনি রায়, রোগ, নিঃসঙ্গতা—সব কিছুর মাঝেও মাথা উঁচু করে লড়াই করে গেছেন।

বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন আদর্শই হতে পারে সবচেয়ে বড় প্রেরণা। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি যেভাবে অন্যায় ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে লড়াই করেছেন, তা নেতাকর্মীদের জন্য এক অমলিন দৃষ্টান্ত। তিনি কখনো আপস করেননি, কখনো ভয় পাননি—বরং প্রতিটি সংকটে ছিলেন দৃঢ়চেতা ও সাহসী। রাজনীতির পথ যত কঠিনই হোক, খালেদা জিয়ার মতো শক্ত মনোবল ও নীতিগত অবস্থান আগামী প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও নেতৃত্বের স্পৃহা জাগাতে সহায়ক হবে। বিএনপির ভবিষ্যৎ পথচলার মূল প্রেরণা হতে হবে তাঁর এই আদর্শিক দৃঢ়তা।