প্রচ্ছদ জাতীয় রাতে হঠাৎ আবেগী পোস্ট তাসনিম জারার

রাতে হঠাৎ আবেগী পোস্ট তাসনিম জারার

ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রয়োজনীয় ভোটার স্বাক্ষর সংগ্রহ করে নির্বাচনি প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ সফলভাবে শেষ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, কোনও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকার মোট নিবন্ধিত ভোটারের অন্তত ১ শতাংশের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হয়। সে হিসেবে ঢাকা-৯ আসনে ডা. তাসনিম জারাকে ন্যূনতম ৪ হাজার ৬৯৩ জন ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হয়েছে। এনিয়ে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে একটি আবেগী পোস্ট করেছেন তাসনিম জারা।

তার পোস্টটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
আজ প্রায় ৫ হাজার স্বাক্ষর নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলাম। এটা আমি নই, এটা আপনারা, আপনারা সবাই।

যারা শীতে ভোর বেলায় বের হয়েছেন, গভীর রাতে এসেছেন, কাজের মধ্যেও সময় বের করেছেন—মা–বাবা, ভাই–বোন, কাজিন, বন্ধু আর সন্তানদের নিয়ে।
যারা নিজেরা সই করেছেন, আর অন্যদেরও সই করিয়েছেন। যে মা—হাঁপাতে হাঁপাতে এসেছিলেন, কারণ আমেরিকায় থাকা মেয়ে ফোন করে বকুনি দিয়েছিল: “এখনো বুথে যাওনি কেন?”

কলেজের ছেলে-মেয়েগুলো—যারা হঠাৎ করেই দল বেঁধে স্বেচ্ছাসেবক হয়ে গেল, আর শেষ এক ঘণ্টায় ৫০টা স্বাক্ষর জোগাড় করল। ওই কাকু—যিনি আমাদের কথা শুনে নিজে থেকেই বললেন, আরও ১০টা স্বাক্ষর জোগাড় করে দেবেন—“দেখি কিছু করতে পারি কি না।”

মা–মেয়ের সেই জুটি—যারা সই করে আরও ফর্ম নিয়ে গেল, পুরো মহল্লা ঘুরে আবার ফিরে এলো আরও স্বাক্ষর নিয়ে। পুরনো বন্ধু আর সহকর্মীরা—যারা এমনভাবে হাজির হলো, যেন এতদিনে কোনো দূরত্বই তৈরি হয়নি। অচেনা মানুষরা—যারা হঠাৎ করেই ক্যাম্পেইন ম্যানেজার হয়ে গেল, টার্গেট পূরণ হবে কি না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, কিন্তু কখনোই হাল ছাড়েনি।

সন্ধ্যায় আসা সেই দাদা—দোয়া দিতে এসেছিলেন, ২০টা স্বাক্ষর জোগাড় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আর পরদিন সকালেই ফর্ম ফিরিয়ে দিয়ে বললেন,
“দেখলে মা, কথা রেখেছি।”

ওই আন্টি—যিনি কানে কানে বলেছিলেন, “কখনো পিছু হটবে না। আমরা আছি।”