
দেড় বছর আগে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি জানিয়েছিলেন, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছে। সেই ঘোষণার পর থেকে দুজনকে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি। মাহি ব্যস্ত ছিলেন নিজের কাজ ও সংসার নিয়ে, আর রাকিব সরকার থেকেছেন আড়ালে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত মাহি জানালেন নতুন খবর! অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘তাদের আসলে ডিভোর্স হয়নি’।
২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। জমকালো আয়োজনের সেই বিয়ে টিকেছিল পাঁচ বছর। এরপর ২০২১ সালে গাজীপুরের রাজনীতিক রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু দেড় বছর আগে গণমাধ্যমে মাহি জানান, রাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের ইতি ঘটেছে।
সেই সময় মাহি বলেছিলেন, ‘আমরা দুজনই চেষ্টা করেছি। কিন্তু যখন দেখলাম চেষ্টায় ফল হচ্ছে না, তখন বন্ধুত্বটা রাখাটাই ভালো মনে হয়েছে। যেহেতু ও ফারিশের বাবা, তাই যোগাযোগ থাকে। ও খুব যত্নবান একজন মানুষ, ফারিশের বিষয়ে ওর কেয়ারিং মনোভাব প্রশংসনীয়।’
তখনও স্বামী রাকিবের প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রশংসা প্রকাশ করেছিলেন মাহি। তার ভাষায়, ‘রাকিব মানুষটা অনেক ভালো, পরোপকারী। কিন্তু আমার প্যাটার্ন আর ওর প্যাটার্ন আলাদা, দ্যাটস ইট।’
তবে দেড় বছর পর এসে মাহির বক্তব্য পুরোপুরি বদলে গেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি রাগের মাথায় ডিভোর্সের কথা বলেছিলাম। আসলে আমাদের ডিভোর্স হয়নি, নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।’
বর্তমানে মাহি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তবে রাকিব সরকারের অবস্থান সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত নন। এই অবস্থায় হঠাৎ দুজনের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই জানতে চান, তারা একসঙ্গে ফ্রেমবন্দি হলেন কীভাবে?
এ বিষয়ে মাহি বলেন, ‘ছবিটি আমরা ভারতে তুলেছিলাম, তখন প্রকাশ করা হয়নি। এখন উইকিপিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে, তাই ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে ছবিটি পোস্ট করেছি। আমাদের পাসপোর্টেও লেখা আছে ‘ম্যারিড’, স্বামীর নাম রকিব সরকার। আমরা ভালো আছি।’
দেড় বছরের ব্যবধানে মাহিয়া মাহির ডিভোর্স নিয়ে দুটি ভিন্ন বক্তব্যে বিভ্রান্ত তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। ঢালিউড অঙ্গনের অনেকেই বলছেন, বিষয়টি স্পষ্ট নয়। কেউ কেউ ধারণা করছেন, মাহি যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ কোটায় নাগরিকত্বের আবেদন করেছেন, তাই হয়তো এমন কৌশল অবলম্বন করছেন তিনি।