ধর্ম ও জীবন: বিয়ে পবিত্র বন্ধন। স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের কাছে উপকৃত ও পরিতৃপ্ত হওয়ার মাধ্যম। এটি ব্যবসা বা অর্থোপার্জনের মাধ্যম নয়। তেমনি বর-কনেও ব্যবসার পণ্য নয়, যাদের বিক্রি করে পয়সা কামানো হবে। অতএব একটি হালাল বন্ধনকে হারাম অর্থোপার্জনের মাধ্যম বানানো কোনো সুস্থ-বিবেকবান ব্যক্তির কাজ হতে পারে না।
যৌতুক দাবির ফলে দাম্পত্য সম্পর্কের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যায়। পরিবারে শান্তির বদলে অশান্তির আগুন জ্বলতে থাকে। অনেক পরিবার আছে, যারা দিন আনে দিন খায়, অনেক টানাপোড়েনে সংসার চালায়, যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, তারা মেয়ের যৌতুকের টাকা পরিশোধ করতে করতে একসময় দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। তবুও মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেদের সর্বোচ্চটা বিলিয়ে দেয়।
যৌতুক প্রথার সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে বিভিন্ন কারণ জড়িত। এসব কারণের মধ্যে সামাজিক কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস, সামাজিক প্রতিপত্তি ও প্রতিষ্ঠা লাভের মোহ, দারিদ্র্য, অজ্ঞতা, উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনের নেশা ইত্যাদি কারণ উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এসব অপসংস্কৃতি তখনই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, যখন মানবজীবনের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত মৌলিক মূল্যবোধের পতন ঘটে এবং লোভ-লালসা ও ভোগবাদ মানুষের মনে জেঁকে বসে।
সমাজ থেকে এই অভিশপ্ত ব্যাধি মুছে দিতে নারীকে পণ্যদ্রব্য হিসেবে বিবেচনা না করে নিজেদের অর্ধাঙ্গীর মর্যাদা দিতে হবে। পুরুষদের অর্থলোভ ত্যাগ করে নারীর গুণ ও গৌরবের তাৎপর্য উপলব্ধি করে সমাজে তাদের প্রাপ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যৌতুক দেওয়া ও নেওয়াকে ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে সবাইকে বিবেচনা করতে হবে। অন্যায় আর অন্যায্যভাবে মানুষের সম্পদ করায়ত্ত করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। তবেই এ যৌতুক প্রথা সমাজ থেকে চিরতরে বিদায় নেবে।
বিষয়:
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |