
সম্ভাব্য একক প্রার্থীদের মাঠের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করছে বিএনপি। বিশেষ করে মনোনয়নবঞ্চিতসহ এলাকার ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রার্থীরা কেমন আচরণ করছেন-এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে দলটি। আবার ঐক্য তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রার্থী যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়ার পরও যদি কেউ বিরোধিতা করে তাহলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে ঘোষিত আসনের মধ্যে অন্তত ২৩টিতে চলছে বিরোধ। এসব আসনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বলে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল নেতাদের তদন্তে উঠে এসেছে। তাদের মতে, পুনর্মূল্যায়ন করা না হলে এর মধ্যে বেশ কয়েকজন নেতার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ৬৩ আসনের (ফাঁকা) সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকটা ‘ধীরে চলো নীতি’ গ্রহণ করেছে বিএনপি। এর মধ্যে বেশির ভাগ আসনে মিত্রদের ছাড় দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও চলছে। চলতি মাসের শেষ দিকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মিত্র রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক করার কথা রয়েছে। এর আগে আরও অন্তত ১১ আসনে দলীয় সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা দেবে বিএনপি। এগুলো প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
সূত্র জানায়, বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি আসনে তৈরি হওয়া বিরোধ গত কয়েকদিনে আরও প্রকাশ্যে এসেছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অংশ হিসাবে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন মাঠপর্যায়ে তাদের অবস্থান নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান দিয়ে যাচাই করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করছেন না। তবে যাচাই-বাছাইয়ের পর ঘোষিত প্রাথমিক প্রার্থী তালিকাতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির নেতারা।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু যুগান্তরকে বলেন, ‘কয়েকটি আসনে ক্ষোভ হতেই পারে। এসব আমরা ভালোভাবে হ্যান্ডল করছি, পর্যবেক্ষণ করছি। ফাঁকা আসন সব মিত্রদের জন্য রাখা হবে না। এর মধ্যে দলীয় আসনও রয়েছে। সেসব আসনে কয়েক দিনের মধ্যে দলীয় সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।’
৩ নভেম্বর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে মাদারীপুর-১ আসনটির সম্ভাব্য মনোনয়ন স্থগিত করা হয়। ওইদিন প্রার্থী ঘোষণা শেষে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, যেসব আসনে তারা আগ্রহী, সেসব আসনে কোনো প্রার্থী দেইনি। শরিক দলগুলো তাদের নাম দিলে আমরা চূড়ান্ত করব।’ তিনি জানান, ২৩৭ আসন হচ্ছে বিএনপির সম্ভাব্য তালিকা, চূড়ান্ত নয়। এখানে পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কোনো কোনো আসনে পরিবর্তন আনা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই অন্তত ২৩টি আসনে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদ হচ্ছে। এসব আসনে প্রার্থী পুনর্বিবেচনারও দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে গুলশান কার্যালয়েও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বৈঠক করছেন। দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, একটি আসনে একাধিক প্রার্থী ছিলেন। তার মধ্যে একজনকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাকিরা বঞ্চিত হয়েছেন। এই বঞ্চিতদের তালিকায় অনেক যোগ্যরাও আছেন। যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে অন্যদের মান ভাঙিয়ে ঐক্য গড়া। সেটা করতে ব্যর্থ হলে ধানের শীষের বিজয়ের স্বার্থে প্রার্থী পরিবর্তনের মতো সিদ্ধান্ত নেবে দল। কিন্তু প্রার্থীরা ঐক্য তৈরির করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়ার পরও অন্যরা বিরোধিতা করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা বলেন, সব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নীতিনির্ধারকরা আরও বলেন, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে-স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপির জনপ্রিয় কিছু নেতাও মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। তাদের অন্য রাজনৈতিক দল প্রার্থী করার প্রস্তাব দিচ্ছে। আবার স্বতন্ত্রভাবেও বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের মাঠে প্রার্থী হিসাবে রাখতে চাইছে বড় একটি দল। এজন্য নানা প্রলোভনও দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপির ভোট ভাগাভাগির কারণে ওই দলের প্রার্থী জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। সব মিলিয়ে কিছু আসনে ঘোষিত মনোনয়ন পরিবর্তন হতে পারে। তবে এই পরিবর্তন স্থানীয় নেতাদের মতামত নিয়েই করা হবে।
২৩ আসনে প্রার্থী নিয়ে বিরোধ : ঘোষিত আসনের মধ্যে অন্তত ২৩টিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা। কয়েকজন দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলে আভাস পেয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। এসব আসনে সম্ভাব্য একক প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে। সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
সাতক্ষীরা-২ (সদর-দেবহাটা) আসনে বিএনপির প্রার্থী আবদুর রউফের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরাবর আবেদন করেছেন সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৩৩ জন নেতা। বৃহস্পতিবার তারা যৌথভাবে এ আবেদন করেন। এ আসনে আব্দুল আলিমকে ত্যাগী নেতা বলে উল্লেখ করে তার মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিলও করেছে দলের একাংশ। একইভাবে সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে ‘গরিবের বন্ধু’ নামে পরিচিত ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দিয়ে সাবেক সংসদ-সদস্য কাজী আলাউদ্দীনকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে কালীগঞ্জে বিএনপির একাংশ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে মনোনয়ন পাওয়া এম ইকবাল হোসেইন ও মনোনয়নবঞ্চিত নেতা আহম্মেদ তায়েবুর রহমানের সমর্থকরা রোববার পৌর শহরের মধ্য বাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আহত হন। আহম্মেদ তায়েবুর রহমান এলাকার প্রভাবশালী নেতা হিসাবে পরিচিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে উপজেলা দলের এক পক্ষের অনুসারীরা। তারা আবদুল মান্নানের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করে নাজমুল হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনেও সম্ভাব্য প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারা অবিলম্বে মনোনয়ন পরিবর্তন করে ত্যাগী ও মাঠপর্যায়ে গ্রহণযোগ্য নেতা কবীর আহমেদ ভূঁইয়াকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর) আসনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আবদুল হাকিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে গোয়াইনঘাটের নয়াবাজারে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী মশাল মিছিল করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (ভোটাহাট, গোমস্তাপুর ও নাচোল) আসনেও মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আখতারুল আলমের মনোনয়ন বাতিল করে সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল করীম সরকারকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে গণমিছিল ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া এসএম ফয়সালকে পরিবর্তন করে শাম্মী আক্তারকে প্রার্থী করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। রংপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল হয়েছে। রংপুর মহানগরীতে এ মিছিলে অংশ নেন দলের সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবীর সমর্থকরা। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীর মনোনয়ন পরিবর্তন মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে দলের প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে টেকনাফ পৌরসভায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলটির একাংশ। দলের মনোনয়নবঞ্চিত জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সমর্থকরা এই মশাল মিছিল বের করেন।
নাটোর-১ (লালপুর-বাঘাতিপাড়া) আসনে প্রার্থী করা হয়েছে প্রয়াত বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে ফারজানা শারমিন পুতুলকে। এ আসনে আরও দুজন মনোনয়নপ্রত্যাশী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু এবং পুতুলের ভাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক ভিপি ইয়াছির আরশাদ রাজন। পুতুলের প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকে টিপু ও রাজন সমর্থকরা পৃথকভাবে বিক্ষোভ করছেন। রোববারও বাগাতিপাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল সমাবেশও করেন টিপু। নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন মনোনয়নবঞ্চিরা। সোমবার আড়াইহাজারে ৭ নভেম্বর উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় একই মঞ্চে মনোনয়নবঞ্চিত কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান সুমন, সাবেক সংসদ-সদস্য আতাউর রহমান আঙ্গুর ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী পারভিন আক্তারকে দেখা যায়।
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আমজাদ হোসেন। তার পরিবর্তে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদকে প্রার্থী করার দাবিতে আন্দোলন করছেন নেতাকর্মীদের একাংশ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরীকে প্রার্থী না করায় চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন সেখানকার নেতাকর্মীদের একাংশ। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে মনোনীত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহারকে মনোনয়ন না দেওয়ায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তার সমর্থকরা। নরসিংদী-৪ আসনে সর্দার সাখাওয়াত হোসেন বকুলকে মনোনয়ন দেওয়ায় সেখানেও ক্ষুব্ধ হয়েছেন বেশকিছু স্থানীয় নেতাকর্মী। তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই অবস্থা মুন্সীগঞ্জ-২ আসনেও। সেখানেও বিএনপির প্রার্থী পুনর্বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদকে প্রার্থী করার দাবিতে বিক্ষোভ করছে। এসব আসনের বাইরে চট্টগ্রাম-১৬, নোয়াখালী-৫, ঠাকুরগাঁও-৩, রাজশাহী-৪ ও ৫ আসনসহ বেশ কয়েকটিতে মনোনয়ন নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে।
শিগগিরই আরও অন্তত ১১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা দেবে : এদিকে ফাঁকা ৬৩ আসনের মধ্যে অন্তত ১১ আসনে দলীয় প্রার্থী শিগগিরই ঘোষণা দেওয়া বলে জানা গেছে। বিএনপি সূত্র জানায়, এ বিষয়ে কাজ করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। এসব আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথাও বলেছেন তারা। এরমধ্যে ঢাকা-৯, ঢাকা-১৮, ঢাকা-২০, মাদারীপুর-২, গাজীপুর-১, টাঙ্গাইল-৫, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-৯, চট্টগ্রাম-১১, ঝিনাইদহ-৪ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা হতে পারে শিগগিরই।










































