টানা চতুর্থ মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন। তবে এবারই প্রথমবারের মতো আসছেন মন্ত্রিসভায়। কিন্তু তিনি কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও জানানো হয়নি। সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হতে পারেন পাপন।
রাজনীতির পাশাপাশি দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। তবে রাজনীতিবিদ কিংবা ব্যবসায়ী এই দুই পরিচয় ছাপিয়ে পাপনকে ক্রিকেটের মানুষ বলেই জানেন বেশিরভাগ লোক। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি তিনি।
সবমিলিয়ে ক্রীড়ার সঙ্গে পাপনের বন্ধুত্ব বেশ পুরোনো। তাই অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে বলছেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবেন পাপন। তবে এটা স্রেফ গুঞ্জন। যেহেতু এখনও কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি, তাই নির্দিষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছেন না। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসছে আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায়ই।
মন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশের পর থেকেই আলোড়ন তৈরি হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। পাপন বিসিবি সভাপতি পদে থাকছেন তো? যদিও মন্ত্রিত্বের সঙ্গে বোর্ড সভাপতি থাকার বিষয়টি সাংঘর্ষিক নয়। ক্রিকেট বোর্ডে তিনি চার বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি পদে মেয়াদ রয়েছে তার।
ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রীড়া আইনে মন্ত্রিত্ব পেলে কোনো ফেডারেশনের সভাপতিত্ব করা যাবে না— এমন কোনো নিয়ম নেই। ২০১৩ সাল থেকে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হচ্ছে। এর আগে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সরকার কর্তৃক মনোনীত ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারের অনেক মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতির তালিকায় থাকা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও সাবের হোসেন চৌধুরী মন্ত্রিত্ব এবং বোর্ড সভাপতি উভয় পদেই একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ১৯৮৭-৯০ সাল পর্যন্ত বিসিবির সভাপতি ছিলেন। ওই সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। বোর্ড সভাপতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী উভয় পদে আনিস মাহমুদের উত্তরসূরি আবু সালেহ মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত বিসিবির সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে তিনি নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয় ২০১২ সালে বাফুফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে নেত্রকোনা থেকে এমপি হয়ে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। উপমন্ত্রী হলেও ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবে মেয়াদ পূর্ণ করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |