দেশজুড়ে: মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার ছেলেরা বিয়ের পর নিজের পরিবার ছেড়ে চলে যান স্ত্রীর বাড়িতে। সারাজীবনের জন্য সেখানেই সংসার করেন তারা।
জানা যায়, ধুমধাম করে নেচে গেয়ে আয়োজন করে ফুলের মালা পড়িয়ে, নাচের তালে তালে বরকে মেয়ের বাড়িতে তোলা হয়। যদিও এর আগে, ঘণ্টা বাজলে ছেলে-মেয়ে উভয়কে সাজিয়ে আনা হয় গির্জায়। সেখানেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করান তাদের ফাদার। বিয়ের পর মেয়েরা স্বামীকে নিয়ে চলে যান বাবার বাড়ি। মা, বোন, খালাদের সঙ্গে ছেলেদের নিয়ে সংসার করেন মেয়েরা।
মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার মাতৃপ্রধান খাসিয়াদের প্রাচীন ঐতিহ্য এটি। যাদের প্রধান ব্যবসা পান, সুপারী ও জুম চাষ। এরা অধিকংশই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।
স্থানীয় জানায়, বিয়ের কাজ শেষ হলে কেক কাটা হয়। সেখানে বর-কনে একে অপরকে কেক খাওয়ানো হয়। তারা বিশ্বাস করেন, কেকে কাটার কারণ, সম্পর্কের একটি চিহ্ন। যার অর্থ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সম্পর্কের একটি প্রতীক থাকে তাদের মধ্যে। এটাই তাদের সংস্কৃতি।
মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির নেতা জিডিসন প্রধান সুচিয়াং জানান, ছেলে যতই সম্পদশালী হোক তাকে এক রাতের জন্য হলেও মেয়ের বাড়িতে থাকতে হবে। এটাই তাদের পুরোনো রীতি।
গারো এবং খাসিয়া দুই জনগোষ্ঠী মাতৃতান্ত্রিক। দুই জনগোষ্ঠীর সম্পদের উত্তরাধিকার হন নারীরা ফলে নারীদের গুরুত্ব বেশি এবং নারীদের কাছে পুরুষরা যান। তবে প্রচলন থাকলেও আধুনিক বাস্তবতায় তা অনেকটা কমেছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |