হেড লাইন: হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অপসারণের জন্য প্রথমদিকে বেশ আন্দোলন হলেও পরে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। তাহলে কি কারণে সরানো হচ্ছে না রাষ্ট্রপতিকে এবং পেছাচ্ছে নির্বাচন? আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো বসে আছে সরকারের বড় বড় অনেক পদ নিয়ে। সংবিধান অনুযায়ী দেশের সর্বোচ্চ পদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে এখনো যিনি আছেন তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত এবং নিজেও আওয়ামী
রাজনীতিকে ধারণ করে কিন্তু এই নিয়ে কোনো উচ্চবাক্য করছে না বিএনপি থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। এমনকি আন্দোলনকারীরাও কারণ রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে বেশ কিছু কাজ করানো বাকি অন্তর্বর্তী সরকারের এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাষ্ট্র সংস্কার থেকে শুরু করে আরো নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন- ১৫ বছরে আটক ও শাস্তি ভোগ করা রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি ও মামলা থেকে খালাস। এসব বকেয়া কাজ করানোর জন্যই মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে হাসিনা পতনের পরপরই বাংলাদেশের জনগণের সবচেয়ে আকাঙ্খিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায় অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন যা হবে সর্বসাধারণ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। কিন্তু সে নির্বাচন কবে হবে সেই নিয়েও চলছে টালবাহানা। শুরুতে বিএনপি সহ সব রাজনৈতিক দল ইউনূসের সাথে সরকারকে নির্বাচনের পথে হাঁটার জন্য চাপ দিলেও সেই চাপও কমে এসেছে। কারণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করেই নির্বাচন হওয়াকে শ্রেয় মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শেখ হাসিনার আমলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল করে বেশ তাড়াহুড়ো করে জামায়াত নেতাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ঘোষণা করা হয়েছিল এবং কার্যকর করা হয়েছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেই পদ্ধতি অবলম্বন করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিচার দ্রুত কার্যকর করার জন্যই নির্বাচন নিয়ে কোন স্পষ্ট ঘোষণা আসছে না। শুধু তাই নয় নির্বাচনের আগেই সেই রায় কার্যকর করার জন্য হয়তো অন্তর্বর্তী সরকার পরিকল্পনা করছে। এতে নির্বাচনের কাজ অনেকটাই কমে যাবে অন্তর্বর্তী সরকারের। বিএনপি নেতাকর্মীরাও এতে সায় দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত রাষ্ট্রের সংস্কার থেকে শুরু করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যই রাষ্ট্রপতিকে আরো কিছুদিন থাকতে হবে এবং সেসব বিচার কাজ শেষ করে সেটি কার্যকর করার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক সচেতনরা।
সূত্র : জনকণ্ঠ । Janakantha
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |