রাজনৈতিক : আসন্ন খাগড়াছড়ি পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোন নেতা অংশ নিচ্ছেন না। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে যে ৬ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তাতে আওয়ামী লীগের কোনো নেতার নাম নেই।
উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে ভোট হবে পানছড়িতে। চেয়ারম্যান পদে একজনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় ভোটে রয়েছেন ৫ জন প্রার্থী। এরা সবাই পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সমর্থনপুষ্ট বলে পরিচিত।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর প্রভাব ও আধিপত্যের কারণে ক্ষমতাসীন দলের কোন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে আগ্রহী নন।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কেন নেই জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে আমাদের সংগঠনের কোন প্রার্থী নেই। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন নেতা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে কেন প্রার্থী নেই, সেটা আপনিও জানেন আমি জানি। কিন্তু বলা যাবে না।’
পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জয়নাথ দেব বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য কেউ আগ্রহী হয়নি, তাছাড়া এখানে বাঙালি ভোটও কম।’
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পানছড়িতে ইউপিডিএফ (প্রসীত) সমর্থিত শান্তি জীবন চাকমা নির্বাচনে জয়ী হলেও চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ নিতে পারেন নি। তার পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করছেন ভাইস চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছেন আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট – ইউপিডিএফ (প্রসীত ) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক )।
ইউপিডিএফের (প্রসীত ) জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আমাদের সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে। তবে কাকে সমর্থন দেওয়া হবে তা এখনো সুনিদিষ্ট করা হয়নি।’
অন্যদিকে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক ) এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্যামল চাকমা বলেন, ‘চেয়ারম্যান পদে মিটন চাকমা আমাদের দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।’
| প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |
