প্রচ্ছদ জাতীয় যে আসনে জামায়াতের ‘নির্বাচনী টিকিট’ পেলেন এ টি এম আজহারুল

যে আসনে জামায়াতের ‘নির্বাচনী টিকিট’ পেলেন এ টি এম আজহারুল

রংপুরে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সংগঠিতভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। জেলার ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

দীর্ঘ ১৬ বছর সারা দেশের মতো রংপুরের রাজনীতির মাঠে কোণঠাসা ছিল জামায়াতে ইসলামী। নেতাকর্মীরা মামলা-হয়রানির কারণে ছিলেন পলাতক। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী সরকারের পতন ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার দেশত্যাগ করায় রাজনীতির মাঠে জামায়াত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দলটির নেতাকর্মীরা নতুন মাত্রায় দল গোছানোর কাজ করছেন। রংপুরসহ সারা দেশে সভা-সমাবেশ ও সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

প্রাথমিকভাবে রংপুরের ৫টি আসনে সংসদ নির্বাচনে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন-রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও সিটি করপোরেশনের আংশিক) আসনে মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, রংপুর-৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসনে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর কমিটির সাবেক আমির অধ্যাপক মাহবুবার রহমান বেলাল, রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে রংপুর মহানগর জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খান, রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে রংপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম রব্বানী এবং রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের সাধারণ সম্পাদক, সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. নুরুল আমিন।

তবে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে এখন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি জামায়াতে ইসলামী। এই আসনের একসময়ের প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে জানা গেছে। তিনি বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। তার মুক্তির অপেক্ষায় আছে জামায়াত। যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আইনি লড়াইয়ে মুক্তি পান তা হলে তিনিই হবেন দলের প্রার্থী।

এদিকে রংপুরের ৫ আসনে সংসদ-সদস্য পদে প্রার্থী ঘোষণার মধ্য দিয়ে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। দলের ভেতর প্রার্থিতা নিয়ে মনোনয়ন পাওয়া-না-পাওয়ার যে সংশয় ছিল, তা আর রইল না।

ইতোমধ্যে রংপুরে ৫টি জনসভায় বক্তৃতা করছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া নিয়মিত নির্বাচনি এলাকার গ্রামপর্যায়ে উঠোন বৈঠক, কমিটি গঠন, শিক্ষাশিবির, সভা-সমাবেশ করে আসছেন নেতাকর্মীরা। প্রার্থী ঘোষণার পর দলটির নেতাকর্মীরা আরও জোরেশোরে মাঠে নামবেন।

প্রার্থীদের নাম ঘোষণার বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করেছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, এটা দলের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই ও মূল্যায়ন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। কালোটাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হোক, জামায়াতে ইসলামী তা দেখতে চায়। এখন দল গোছানো ও নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের কর্মপরিকল্পনা শুরু হয়েছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ