প্রচ্ছদ জাতীয় ভারতে খুন এমপি আনারের বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধারের পর যা বললেন মেয়ে ডরিন

ভারতে খুন এমপি আনারের বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধারের পর যা বললেন মেয়ে ডরিন

কুষ্টিয়ার শাফিনা টাওয়ারে পাওয়া বিলাসবহুল গাড়িটি ভারতের কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের।

মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা ১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তিনি তার বাবার গাড়িটি ফেরতের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সহায়তা চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ার পুলিশ লাইনের সামনে শাফিনা টাওয়ারের গ্যারেজে পাওয়া যায় টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের কালো রঙের একটি গাড়ি। এই গাড়ির মালিকের অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। সোমবার (৯ জুন) রাতে অনুসন্ধানের পর গাড়িটির মালিক কলকাতায় হত্যার শিকার হওয়া এমপি আনার ছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মে মাসে ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আনার। পরে সেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরবর্তীতে জানা যায়।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে নিহত সাবেক এমপির মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গাড়িটি আমাদের। আমরা কারও কাছে গাড়িটি বিক্রি করিনি। তবে গাড়িটি ওইখানে কেন, সেটিও জানি না।

তার বাবার নৃশংসভাবে খুন হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এসবের মাঝে আমাদের গাড়ির কথা মনেই ছিল না। ৫ আগস্টের ঘটনার পর আমরা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তবে নিজেদের মধ্যে গাড়িটি খোঁজাখুঁজি করছিলাম আমরা।

ডরিন আরো বলেন, আমার বাবার ডেথ সার্টিফিকেট ও ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট এখনো পাইনি। কিছুদিন আগেও ভারত থেকে ঘুরে এলাম। বাবার জানাজাটা পর্যন্ত হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি আমরা। যেহেতু বাবার হঠাৎ করেই এমন দুর্ঘটনা হলো এরপর থেকে আমাদের মাথায় গাড়ির বিষয়টি ছিলই না।

গাড়ি ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ তাদের সাথে যোগাযোগ করেননি বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, তবে গাড়িটি বুঝিয়ে দিতে তাদের সহায়তা নিব আমরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রানুযায়ী, কয়েক কোটি টাকা মূল্যের এই টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের কালো রঙের গাড়িটি প্রায় তিন মাস আগে সাফিনা টাওয়ারের গ্যারেজে আনা হয়।

সাফিনা টাওয়ারের গ্যারেজের দায়িত্বে থাকা প্রহরী আলমগীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাস করে হলে জানান, প্রায় তিন মাস আগে একটি তামাক কোম্পানির দুই কর্মকর্তা গাড়িটি রেখে যান। তাদের কোম্পানির বায়ারদের জন্য ভবনের দুই, তিন এবং চারতলায় পাঁচটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া আছে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা ২টায় কুষ্টিয়া পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, গাড়িটি জব্দ করে ওই ভবন মালিকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তবে গাড়িটি ঝিনাইদহের সাবেক এমপির কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কাগজগুলো বিআরটিএ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। তবে অফিস ছুটি থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তীতে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।