সোমবার দিবাগত রাতে হঠাৎ ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকার একটি বড় অংশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাঝরাতে হঠাৎ করেই ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। ধোঁয়ার কারণে বাসার ভেতরেও চোখ জ্বালাপোড়া করছে। অনেকে জানান, বাড়ির বারান্দা বা ছাদে গেলে নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে।
বাসিন্দাদের অনেকে আবার ধোঁয়া থেকে ‘বারুদের মত’ গন্ধ পাচ্ছেন। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারছেন না। এছাড়া এসব এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের কোনো খবরও পাওয়া যায় নি।
সোমবার রাত পৌনে ১২টা থেকে মোহাম্মদপুরের বিশাল এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মোহাম্মদপুরের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দেন। এছাড়া বিভিন্ন গ্রুপেও স্থানীয় অনেকে জানান, ধোঁয়ার সাথে বারুদের গন্ধও আছে।
ফেসবুকে সিফাত মাহমুদ লিখেছেন, ‘কাটাসুর থেকে বাশবাড়ি, নুরজাাহন রোড, চানমিয়া হাউজিং, জাপান গার্ডেন সিটি, তাজমহল রোড, শেখেরটেক পর্যন্ত ধোঁয়ায় ভরে গেছে। এক ধরনের বাজে গন্ধ ছেয়ে গেছে। চোখ জ্বলতেছে। পুরো এলাকা ঘুরেও উৎস খুঁজে পেলাম না।’
এরমধ্যে ইসতিয়াক হোসেন জানিয়েছেন, এই বারুদের গন্ধ শুধু মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি নয়, পুরান ঢাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি লিখেছেন, এর আগেও এমন হয়েছে, কিন্তু এতো তীব্র ছিল না কখনোই।
তবে এসব পোস্টের মন্তব্যের ঘরে কেউ আমিনবাজার ল্যান্ডফিলের কথা বলছেন নেটিজেনরা। সেখানে জমা হওয়া বর্জ্য পোড়ানোর কারণে এমন ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন তারা।
তবে কেন এবং কী কারণে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তৎপরতা শুরু করলেও কোনো কূলকিনারা পাননি তারাও। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষও বলেছে, তাদের কাছে গ্যাস লিকেজের কোনো তথ্য নেই।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |