
ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ছাড়াও যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হাউজিং সোসাইটিগুলোতে ক্যাম্প বসাবে সেনাবাহিনী। অস্থায়ী এসব ক্যাম্পগুলো থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে মোহাম্মদপুরে যৌথ অভিযান শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ২৩ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর নাজিম আহমেদ।
তিনি জানান, মোহাম্মদপুরে ২৭ থেকে ২৮টি কিশোর গ্যাংয়ের তথ্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোববার (২৭ অক্টোবর) থেকে বিভিন্ন হাউজিং এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। দুই-তিনটি হাউজিং এলাকার মধ্যে একটি করে এমন অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হবে। যেখান থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন।
এর আগে শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরে যৌথ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। এ বিষয়ে মেজর নাজিম আহমেদ জানান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ এ অভিযানে ছিনতাই করা অবস্থায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের ৪০ জনের মতো সদস্যকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
আটকদের অনেকের হাতে ট্যাটু ছিল। এরমধ্যে কারও কারও হাতে ডাবল স্টার খোঁচানো ট্যাটুও দেখা গেছে। একেকটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একেক ধরনের ট্যাটু ব্যবহার করে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকায় ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি সুপার শপ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দোকানের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, ডাকাতদলের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। প্রায় একই সময়ে কাছের আরেকটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা নিয়ে যায় তারা। ওই ঘটনার পর শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরে যৌথ অভিযানে নামে সেনাবাহিনী।













































