প্রচ্ছদ হেড লাইন মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠিয়ে স্বামীর মরদেহ নিয়ে গ্রামে স্ত্রী

মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠিয়ে স্বামীর মরদেহ নিয়ে গ্রামে স্ত্রী

মেয়ে ফাহমিদা আক্তারকে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পাঠিয়ে স্বামী আবুল কাশেমের (৫১) মরদেহ নিয়ে গ্রামে গেছেন স্ত্রী রোকসানা আক্তার। রোববার (৩০ জুন) দুপুরে কক্সবাজার থেকে স্বামীর মরদেহ নিয়ে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছান তিনি। এ সময় দুই ছেলে সন্তান মাহমুদুল হাসান ও আবুল হাসনাত সঙ্গে ছিলেন।

এদিকে রোববার স্বামী আবুল কাশেমের মরদেহ গ্রামে আসলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের ঘটনা ঘটে। আবুল কাশেম একটি টোব্যাকো কোম্পানিতে চাকরি করতেন। চাকরির সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

গ্রামের বাড়িতে দেখা যায়, মেয়ে ও স্বামীর কথা বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন রোকসানা। স্বজনরা তাকে সান্ত্বনা দিলেও তার আর্তনাদে চারপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

জানা যায়, রোববার ভোরে রোকসানা আক্তারের স্বামী আবুল কাশেম বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে এই দম্পতির কন্যা ফাহমিদা কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। পরে হাসপাতালে মরদেহ রেখেই মেয়েকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যান। এরপর দুপুরে স্বামীর মরদেহ নিয়ে ফেনীর উদ্দেশে রওনা দেন।

এদিকে আবুল কাশেম রোকসানা দম্পত্তির কন্যা ফাহমিদা আক্তার কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। রোববার সকালে লাশ হাসপাতালে রেখে মেয়ে ফাহমিদা কক্সবাজার সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে চলে যান। রোকসানা আক্তার রুনা খবর নিতে পারেনি মেয়ের পরীক্ষা কেমন হয়েছে।

ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে রেখে স্বামীর মরদেহ নিয়ে রোকসানা আক্তারের গ্রামে আসার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বিকেলে আসরের নামাজের পর মৃত আবুল কাশেমকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।