
হেড লাইন: খেলা ঘুরছে বাংলাদেশে! বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে পাল্টা বিক্ষোভ ঢাকায়। ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শুধু তাই নয়, কয়েক হাজার কর্মী হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর দাবিতে মিছিল বের করেন বলে জানা যাচ্ছে। যা নিয়ে নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা বাংলাদেশে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক সে দেশের প্রশাসন।
প্রবল বিক্ষোভের (Bangladesh News) মধ্যে বাংলাদেশে ছেড়ে আপাতত ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন মুজিব কন্যা ((Sheikh Hasina)। তিনদিনের মাথায় বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের বুকে অন্তবর্তী সরকার গঠন হয়েছে। নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে সে সরকার গঠন হয়েছে। আর এর মধ্যেই পাল্টা চাপ আওয়ামী লিগের। একেবারে রামদা, কুড়াল, ঢাল, লাঠি নিয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। তাদের একটাই দাবি, অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মকিমুল ইসলাম স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, অবিলম্বে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। শিক্ষার্থীদের দিয়ে আন্দোলন করিয়ে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে দেশ ছাড়া করা হয়েছে বলে দাবি মকিমুল ইসলামের। এর বিচার প্রয়োজন, শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লিগের নেতারা। যা নিঃসন্দেহে পাল্টা চাপ বলা যেতে পারে। বলে রাখা প্রয়োজন, বৃহস্পতিবারই সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, ‘মা ফের বাংলাদেশে ফিরবেন। সে দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেই সেখানে যাবেন। তাঁর কথায়, বঙ্গবধূ শেখ মুজিবর রহমানের পরিবারের সদস্যরা কখনই দেশের মানুষকে ত্যাগ করবে না। এমনকি আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদেরও অসহায় অবস্থায় রাখবে না বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন হাসিনা-পুত্র।
তাঁর কথায়, লাগাতার আওয়ামী লিগের নেতাদের উপর আক্রমন-হামলা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় দলের নেতা-কর্মীদের পাশে থাকার প্রয়োজন আছে। বাঁচানোর প্রয়োজন আছে। আর তা করতে যা যা দরকার, সব করার কথা বলেন জয়। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি বিচার করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান।
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ। ‘কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক, এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরণের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন, এবং মাথায় রাখুন যে চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।’ ভারতীয় গণমাধ্যমের এমন দায়িত্বহীন ও উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের ব্যাপারে সবশেষে টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কড়া সমালোচনা করেন বাংলাদেশিরা।