প্রচ্ছদ জাতীয় মুখে ছয়বার হিট করার পর মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম, ফের ৩-৪ বার...

মুখে ছয়বার হিট করার পর মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম, ফের ৩-৪ বার হিট করে

পাঠ্যবইয়ের শরীফ থেকে শরীফা গল্পের পাতা ছিঁড়ে আলোচিত-সমালোচিত হওয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে গত ২৮ জুলাই রাত ১টার দিকে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নেওয়া হয়েছিল। এরপর তাকে নিয়ে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে নির্যাতন করেছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন শিক্ষক মাহতাব নিজেই।

তিনি জানান, সেদিন মুখে ৬ বার হিট করার পর তিনি মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাচ্ছিল, ফের তাকে দাঁড় করিয়ে তিন-চারবার হিট করে। এরপর সারাদিন গায়ে জ্বর ছিল বলেও জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে সেদিনের নির্যাতনের কথা শেয়ার করেন আসিফ মাহতাব। তিনি আরও জানান এ ঘটনার পরদিন (২৯ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম ছয় দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

ওই স্ট্যাটাসে আদালতে হাজির করার একটি ছবি দিয়ে আসিফ মাহতাব লিখেন, এর ঠিক আগের দিন আমাকে মারা হয়েছিল। হানাদাররা আমার মুখে ছয়বার হিট করার পর আমি মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যেতে লাগি, তারা আমাকে দাঁড় করিয়ে আবার মুখে তিন চারবার হিট করে। এরপর আমার সারাদিন গায়ে জ্বর থাকে।

“এর পরের দিন, আপনাদের আন্দোলনের কারণে, মিডিয়ার আর উপর থেকে চাপ আসার কারণে আমাকে কোর্টে চালান দিতে বাধ্য হয়। কোর্টের পুলিশ আমার সামনেই সিদ্ধান্ত জানায় যে আমাকে কোনো ভাবেই মিডিয়ার সাথে কথা বলতে তারা দিবেন না। এট অল কস্ট।

তিনি আরও লেখেন, আমি জানি এই সিম্বলটা দেখানোর কারণে হানাদাররা আরও অত্যাচার করতে পারে, কিন্তু তাও সেটার পরোয়া করিনি। আমি জানতাম তারা আমাকে ধরতে আসছিলো, আমি সেটার স্ট্যাটাস আগেই দিয়ে রেখেছিলাম। আমি মরলে যদি এই সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলনের একটুও উপকার হয়, তাহলেই আলহামদুলিল্লাহ।

“আমি এক আঙুল দেখাই। আমি বিশ্বাস করেছিলাম এর অর্থ জনগণ বুজবে। এরপর আমার যা হওয়ার হবে। এক আল্লাহ, এক রাসুল, এক উম্মাহ।”

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।