প্রচ্ছদ জাতীয় মিত্রদের জন্য ১৫ আসন ছাড়তে পারে বিএনপি

মিত্রদের জন্য ১৫ আসন ছাড়তে পারে বিএনপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে অবশেষে। মিত্রদের জন্য কতটি আসন ছাড়া হবে, তা নিয়ে আজ শুক্রবার অথবা আগামীকাল শনিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারে প্রধান শরিক বিএনপি। তবে যেসব আসনে ‘জটিলতা’ রয়েছে, সেগুলো চূড়ান্ত করতে আরও কিছুটা সময় নিতে পারে।

জানা গেছে, বিএনপি এরই মধ্যে যেসব আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে, শরিকদের জন্য সেগুলোর দু-একটিতে পরিবর্তন আনা হতে পারে। এর মধ্যে ঢাকা-১২ এবং নড়াইল-২ আসনে প্রার্থিতায় পরিবর্তন আসতে পারে। অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ তিন নেতা সমর্থন পেতে পারেন বিএনপির। দলটির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

সবমিলিয়ে মিত্রদের জন্য বিএনপির এবার আসন ছাড়ের সংখ্যা ১৫- এর মতো হতে পারে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে শরিকদের জন্য ৫৯টি আসন ছেড়েছিল বিএনপি। সে সময় জামায়াতে ইসলামীকে ২২টি আসন ছাড়লেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দলটি এবার বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই শরিকদের জন্য বিএনপির এবার আসন ছাড়ের সংখ্যা কমবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে ‘আসন সমঝোতা’ নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে বিএনপি। তাদের জন্য কতটি সংসদীয় আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে আগামীকাল (আজ) শুক্রবারের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বিএনপি। এর আগে এরই মধ্যে ঘোষিত দলীয় প্রার্থীদের পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম।’

নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে দুই দফায় ২৭২ আসনে দলীয় প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে বিএনপি। ফাঁকা রয়েছে আর ২৮টি আসন। বিএনপি থেকে বলা হয়েছে, এই ফাঁকা আসনগুলোতে মূলত শরিকরাই নির্বাচন করবেন। তবে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই প্রার্থিতা ঘোষণা করায় দলগুলোর নেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কারণ, ঘোষিত আসনগুলোর মধ্যে অন্তত ছয়টি আসনে ‘অনিবন্ধিত’ দল ও জোটের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। বিএনপির চাওয়া অনুযায়ী দল ও জোটের পক্ষ থেকে প্রার্থী তালিকাও জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে একতরফাভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়েছে বলে

অভিযোগ মিত্রদের। এ নিয়ে শরিকদের মনঃক্ষুণ্নতা আছে।

এমন অবস্থায় করণীয় নির্ধারণে গত ১০ ডিসেম্বর যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ২৯টি রাজনৈতিক দল বৈঠকে বসে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, আসন সমঝোতা ইস্যুতে বিএনপি মিত্রদের নিয়ে কী ভাবছে, সেটা তারা ‘স্পষ্টভাবে’ জানতে চাইবে। এজন্য তারা শিগগির প্রধান শরিকের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। তারপর তারা তাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন। ওই বৈঠকে অধিকাংশ নেতা অভিমত দেন, উচ্চকক্ষ নয়, তারা সরাসরি নির্বাচন করে সংসদ সদস্য (এমপি) হতে চান। তারা বিএনপির কাছে কোনো দয়া-দাক্ষিণ্য নয়, রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন চান। এ বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা না হলে প্রয়োজনে তারা নিজেরা জোটবদ্ধ হয়ে ৩০০ আসনে নির্বাচন করতে পারেন। তবে এটা ছিল প্রাথমিক আলোচনা। এমন অবস্থায় ১৩ ডিসেম্বর যুগপতের শরিকদের নিয়ে একত্রে বৈঠক করে বিএনপি। সেখানে নির্বাচন সামনে রেখে আসন নিয়ে মিত্ররা তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়ে অবিলম্বে বিষয়টি সুরাহার তাগিদ দেন। শরিকদের এমন ক্ষোভ ও তাগিদের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর শরিকদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকের মাধ্যমে আসন সমঝোতার বিষয়টির সুরাহার সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিএনপি।

এর প্রেক্ষিতে আলোচনা করে ‘ক্ষুব্ধ’ শরিকদের ‘মন গলানো’ কিংবা আসন সমঝোতা ইস্যুর সুরাহা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শরিকদের সঙ্গে আলাদা করে ধারাবাহিক বৈঠক করছে। গত বুধবার প্রথম দিনে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার গণফোরাম এবং গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন ও ভাসানী জনশক্তি পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে বিএনপির পক্ষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে পাঁচটি দলের পক্ষ থেকে আটটি করে মোট ৪০টি আসন চাওয়া হয়েছিল। গতকালের বৈঠকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে মোট ৬টি আসন নিয়ে আলোচনা হলেও মূলত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের আসনটির ওপর জোর দিয়েছে দলটি। এর আগে সাইফুল হকের জন্য ঢাকা-৮ আসন চাওয়া হলেও সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। এ অবস্থায় সাইফুল হকের জন্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা-১২ আসনে মনোযোগী হয়। এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে এরই মধ্যে তাদের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও হয়েছে। তবে তাতে কোনো সুরাহা আসেনি। এমন অবস্থায় গতকালের বৈঠকে এ বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে। বিএনপির পক্ষ থেকে এবার সাইফুল হককে ঢাকা-১২ আসনের ব্যাপারে ‘ইতিবাচক বার্তা’ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপি এরই মধ্যে এই আসনে দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরবকে প্রার্থী করেছে। তবে আসন সমঝোতার প্রেক্ষিতে বিএনপি এখন সেখানে প্রার্থিতায় পরিবর্তন এনে সাইফুল হককে সমর্থন জানাতে পারে। বৈঠকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষে সাইফুল হক, বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ঢাকা-৮ আসনে আছি। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মির্জা আব্বাসও আছেন। এ অবস্থায় বিএনপি যদি আমাদেরকে ঢাকা-১২ অফার (প্রস্তাব) করে, এটা আমরা বিবেচনা করব। এ ছাড়া বিএনপির সঙ্গে আরও ৪-৫টি আসন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে ইতিবাচক আলোচনাই হয়েছে।’

অন্যদিকে বিএনপির সঙ্গে জেএসডির বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, এ বৈঠকে জেএসডির পক্ষ থেকে ৫টি আসন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে লক্ষ্মীপুর-৪ এবং ফেনী-৩ আসনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া বৈঠকে জেএসডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশে দক্ষিণপন্থার এক ধরনের অশুভ শক্তির উত্থান হচ্ছে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে ঐক্যবদ্ধ থাকাটা জরুরি। আর ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য পারস্পরিক সম্মান-মর্যাদাবোধ রক্ষা করাটাও জরুরি।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন কালবেলাকে বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে আসন সমঝোতা ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’

জানা গেছে, নির্বাচনে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ তিন নেতা সমর্থন পেতে পারেন বিএনপির। সাইফুল হক ছাড়াও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বগুড়া-২ এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে। তারা তাদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এ ছাড়া এরই মধ্যে দলীয় প্রার্থী দেওয়া নড়াইল-২ আসনটিও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহ্বায়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের জন্য পুনর্বিবেচনা করতে পারে বিএনপি। এই আসনে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন করে জোটের ড. ফরহাদকে ধানের শীষ দেওয়া হতে পারে। গত বুধবার সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে জোট সূত্রে জানা গেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ তৎকালীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ওই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এদিকে এলডিপিকে চট্টগ্রাম-১৪ এবং কুমিল্লা-৭ এই দুটি আসনে সমর্থন দিতে পারে বিএনপি। এ ছাড়া ঢাকা-১৭ আসনে বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ এবং ঢাকা-১৩ আসনে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজকে সমর্থন জানাতে পারে বিএনপি।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও একমাত্র লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিমের প্রার্থিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি দলবল নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনায় তাকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী করার লক্ষ্যে যোগদান করানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিএনপি ২০১৮ সালে শরিকদের জন্য ৫৯টি আসন ছেড়েছিল। সেবার জামায়াতকে ২২টি আসন ছাড়লেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে দলটি এবার বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই শরিকদের জন্য বিএনপির এবার আসন ছাড়ের সংখ্যা কমবে। তবে কত আসন শরিকদের ছাড়বে, তা পরিষ্কার নয়। জোটগত ভোটেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতায় শরিকদের আসন ছাড়ার ক্ষেত্রে বিএনপিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মিত্রদের জন্য বিএনপির এবার আসন ছাড়ের সংখ্যা ১৫-এর মতো হতে পারে। তাই মূলত প্রতিদ্বন্দ্বী দলের প্রার্থী এবং সংশোধিত আরপিও বিবেচনায় নিয়ে শরিকদের মধ্যে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে— এমন প্রার্থীদের আসন ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। আর কৌশলগত কারণে মিত্রদের যাদের আসন ছাড়া সম্ভব হবে না, ক্ষমতায় গেলে তাদের সংসদের উচ্চকক্ষসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়নের মাধ্যমে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে তাদের মূলত এই বার্তাই দিচ্ছে বিএনপি।

জানা গেছে, বিএনপি একাদশ সংসদ নির্বাচন জোটবদ্ধভাবে করলেও এবার নির্বাচনে শরিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের কোনো নির্বাচনী জোট হচ্ছে না। কিছু আসনে সমঝোতা হবে। এরই অংশ হিসেবে শরিক দলগুলোর কয়েকজন শীর্ষ নেতার আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। এ ছাড়া মিত্রদের ছাড় দেওয়া হবে—এমন কোনো আসনে বিএনপি এরই মধ্যে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে দিলে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। এর বাইরে কিছু আসনে প্রার্থিতা উন্মুক্ত থাকবে। যেখানে শরিক দলগুলো চাইলে বিএনপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে।

বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, শরিকদের ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর যদি দেখা যায় কোনো আসনে বিএনপি এরই মধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তাহলে সে প্রার্থী সরিয়ে নেবে দলটি।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের বাইরে আসন সমঝোতা নিয়ে একটি ইসলামী দলের সঙ্গে এরই মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছে। বিএনপির কাছে গুরুত্ব পাওয়া সেই দলটি হচ্ছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, দলটিকে চারটি আসন ছাড়তে চায় বিএনপি। এ চারটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি।

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ও গণঅধিকারের সঙ্গে বৈঠক আজ: চার দলীয় জোট গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে আজ শুক্রবার একইস্থানে আলাদাভাবে বৈঠক করবে বিএনপি।

কালবেলা