
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ঘটেছে এক অসাধারণ মানবিক ঘটনা, যা সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী (স্থানীয়ভাবে ‘পাগলী’ বলে পরিচিত) সম্প্রতি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
সমাজ যেখানে চোখ ফিরিয়ে নেয়, সেখানে দাঁড়ালেন দুই মহৎপ্রাণ মানুষ—মনির ও রুমানা। এই নিঃসন্তান দম্পতি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বসবাস করছেন। তবে তাদের স্থায়ী ঠিকানা সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুরে। সন্তান না থাকায় বহুদিন ধরেই তারা নিঃসন্তান জীবনের কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন। আর তাই, এই অসহায় নবজাতককে দত্তক নিয়ে পিতা-মাতা হিসেবে দায়িত্ব নিতে চান তারা।
মনির বলেন, “এই শিশুটি আমাদের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। আমরা চাই ও যেন ভালোভাবে মানুষ হয়। রাস্তার জন্ম হলেও ও যেন ঘরের আলো হয়ে উঠতে পারে।”
রুমানা বলেন, “আমরা অনেক বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলাম। আজ মনে হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য এই পথ বেছে রেখেছিলেন।” স্থানীয়রা জানায়, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী দীর্ঘদিন ধরেই সড়কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার সন্তান প্রসবের সময় পাশে কেউ ছিল না, তবুও কন্যাশিশুটি জন্মের পর থেকেই তাকে ঘিরে সবার আগ্রহ ও ভালোবাসা বাড়তে থাকে। এমন সময়েই সামনে আসেন মনির-রুমানা। এই শিশুকে তারা শুধু দত্তক নিতে চান না, বরং একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে চান।