দেশজুড়ে: প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন নতুন ঘটনার যেন শেষ নেই। একের পর এক ঘটনা নিয়ে আলোড়ন তৈরী হচ্ছে দেশজুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক সাক্ষাৎকারে সৎ বাবার হাতে যৌন নির্যাতনের একটি মর্মস্পর্শী অভিযোগ উঠে আসে।
মায়ের সহযোগিতায় নিজের মেয়েকে লাগাতার ৯ বছর ধরে ধর্ষণ করেছে সৎ বাবা! এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে সন্দ্বীপের রহমতপুর ইউনিয়নে। মা কানিজ ফাতেমার সহযোগিতায় (সৎ বাবা) তারেক হাবিব দ্বারা দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে আখি (১৮)।
২০১৪ সালের ১৫ ই মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন কৌশলে টানা ৯ বছর সৎ বাবার হাতে ধর্ষিত হন মেয়েটি। গত কয়েকদিন আগে সাংবাদিকদের কাছে সৎ বাবার হাতে যৌন নির্যাতনের একটি মর্মস্পর্শী অভিযোগ তুলেছিল আখি।
এসময় আখি বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর মা আবার বিয়ে করেন। বিয়ের পর মা ঢাকা টঙ্গীতে থাকতো সৎ বাবার সাথে। সেখানে মা চাকুরী করত। আর ভাড়া বাসায় থাকতো। একবার গ্রামে এসে মা আমাকে টঙ্গীতে নিয়ে আসে।
আর সেখানে আসার পর থেকেই টানা ৯ বছর ধর্ষণের শিকার হই। আমার নিজের মায়ের সহযোগিতায় সৎ বাবা আমাকে ধর্ষণ করতো। এ ঘটনা আমি মাকে অনেক বার জানিয়েছি। তিনি কোনো প্রতিবাদ না করে উল্টো সহযোগিতা করতো। আমাকে প্রতিনিয়ত ঘুমের ঔষধু দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।
পরিশেষে আমাকে বোঝা মনে করে, গেল নভেম্বর ২০২৩ সালের ১৫ তারিখ সৌদি প্রবাসী এক ছেলের সাথে অনলাইনে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর আমি আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে যাওয়ার পর আমাকে আবারও ধর্ষণ করে।
এ ঘটনা আমি আমার স্বামীকে খুলে বলি। ঘটনা শোনার পর আমার স্বামী সৌদি থেকে চলে আসে আর আমার শ্বাশুড়িকে সব কথা বলে। এতে আমার স্বামী, শ্বাশুড়ি আর আমি মিলে টঙ্গী থানায় যাই এবং সব কথা খুলে বলি। তার পরপরই পুলিশ আমার সৎ বাবাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |