এম. নুরুল হোসাইন মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া এক স্বেচ্ছাসেবক। মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজনে কিংবা এলাকার দুর্যোগে সবার আগে থাকতেন তিনি। কলেজ পড়ুয়া নুরুল হোসাইন এলাকায় মানবিক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আচার-আচরণে ছোট-বড় সবার মনিকোঠায় স্থান করে নেওয়া নুরুল হোসাইন পরপারে চলে গেলেন। অথচ ১২ দিন আগেও মানবিক কাজে সক্রিয় ছিলেন তিনি।
নুরুল হোসাইন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের জামাল হোসেনের ছেলে। ২৩ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
নুরুল হোসাইনের প্রতিবেশী ও সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১১ এপ্রিল মানসিক ভারসাম্য হারান নুরুল হোসাইন। এরপর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চট্টগ্রামের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। সবশেষ সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্জিস্কোপ হাসপাতালে নুরুল হোসাইনের মৃত্যু হয়।
তার প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ১০ এপ্রিলও সে সুস্থ ছিল। এরপর হঠাৎ মানসিক ভারসাম্য হারায় সে। পরে তাকে চট্টগ্রামের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু তার উন্নতি হয়নি। তার চাচার সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সে বিভিন্ন জনকে খুঁজত। খাওয়া-দাওয়াও করত না। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে।
নুরুল হোসাইনের মানবিক কাজের স্মৃতিচারণ করে সহপাঠী মঈনুদ্দিন আরমান বলেন, মানবিক কাজে সে সবার আগে থাকত। সবার সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল তার। এভাবে তার মৃত্যু হবে ভাবতেও পারছি না।
তার প্রতিবেশী সোহেল রানা বলেন, মানবিক কাজের জন্য এলাকায় তার সুনাম ছিল। সবসময় রক্ত জোগাড় করা, অসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে যেত নুরুল হোসাইন। তার ছোট এক ভাই ও বোন রয়েছে। তার মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |