প্রচ্ছদ হেড লাইন মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৮

মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৮

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় গজারিয়ায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের নারীসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় গাড়ি ও ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকার জন্য সকলকে পরামর্শ দিয়েছেন।

উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। আহতদের মধ্যে স্বাধীন (২৮) ও সাইদুলের (২৫) অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত শিরিনা বেগম (৪৬), দেলোয়ার (৪৯), মোস্তফা (৪৮), সুজন (২৩), আসিফ মীর (১৯) এবং নয়নকে (২৬) স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর বিএনপি দ্বিতীয় দফায় সারা দেশের ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। এতে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রতন। মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থকেরা। এরপর থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকার কয়েকজন দোকানি জানান, বিকেল ৫টার দিকে মহিউদ্দিন গ্রুপের নেতাকর্মীরা সাহারা মার্কেট এলাকায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেনের অফিসের সামনে মশাল মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অপরদিকে, উপজেলা যুবদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম আহমেদ ও হোসেন্দী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মমিন মৃধার নেতৃত্বে কামরুজ্জামান রতন সমর্থকরা সড়কের পাশে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

আলী হোসেন অভিযোগ করেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মশাল মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার গাড়ি ও অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে, ৬-৭ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে।”

অন্যদিকে মমিন মৃধার দাবি, “কামরুজ্জামান রতন ভাই মনোনয়ন পাওয়ায় গজারিয়ার মানুষ আনন্দিত। আমরা আনন্দ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এসময় আলী হোসেনের অফিস থেকে গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে আমরা প্রতিহত করি।”

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ মাসুদ ফারুক বলেন, “এটা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নয়। রতন ভাইয়ের মনোনয়ন পাওয়ায় সাধারণ মানুষ আনন্দ করেছে, আর তারা আওয়ামী দোসরদের প্রতিহত করেছে।”

গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, “দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থকেরা ব্যারিকেট দিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদরের মুক্তারপুর সেতু বিকেলে ৫টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা বন্ধ করে রাখে। এতে চরম দুর্ভোগে পরে মানুষ।