প্রচ্ছদ হেড লাইন মধ্যরাতে জবি শিক্ষার্থীদের মেসে মেসে পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশি

মধ্যরাতে জবি শিক্ষার্থীদের মেসে মেসে পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশি

মধ্যরাতে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেসে পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর পুরান ঢাকার শিংটোলা, ধোলাইখাল, রুকনপুর, গেন্ডারিয়া, সুত্রাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত শিক্ষার্থীদের মেসে তল্লাশির ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের দাবি, এরা স্থানীয় ছাত্রলীগের বা যুবলীগ নেতাকর্মীও হতে পারেন।

গেন্ডারিয়া থানায় ধোলাইখালে অবস্থিত তিন ইউনিটের ছয়তলার একটি বাসায় সব ফ্লোরেই ছাত্রীরা থাকেন। ওই ভবনের বসবাস করা মোহনা রাহমান নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসার মালিকসহ কিছু মানুষ আমাদের বলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে মেস ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে। আমরা বলছি, আমাদের অনেকেই টিউশনি করাই, স্টুডেন্টের পরীক্ষা আছে। আমরা চাইলেও স্টুডেন্টের পরিবার যেতে দিবে না। রাস্তায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দ্বায় কে নিবে? আর যেতেও তো অনেক টাকা ভাড়া লাগবে। তখন তারা বলেন, ঠিক আছে আপনারা বাসায় থাকেন। কিন্তু আন্দোলনে যাবেন না। আর পরিবেশ শান্ত না হলে আস্তে আস্তে বাসায় চলে যাবেন।

মোহনা আরও বলেন, প্রথম আমরা পুলিশ ভাবছিলাম। কিন্তু তাদের সঙ্গে ওয়াকিটকি, অস্ত্র, পোশাক আর কিছু লোকের চেহারা দেখে বুঝতে পারি ছাত্রলীগ হবে হয়তো। সুত্রাপুরের শিংটোলা বসবাসরত শিক্ষার্থী নাগিব বলেন, আমরা এক বাসায় নয়জন থাকি। পুলিশের পোশাকসহ সিভিলে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন লোকের একটা টিম আসে। আমাদের এসে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে বাসা ছেড়ে দিয়ে চলে যাবেন। আমাদের আরেকটি টিম সকাল ১০টায় এসে খোঁজ নিয়ে যাবে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সবকিছু তো আমার নিয়ন্ত্রণে না। আমাদের যতটুকু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে, ততটুকুতে এখনো কেউ আঘাত হানতে পারেনি। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেকগুলো মেসে অবস্থান করে। এতগুলো মেসের সন্ধান তো আমার কাছে নেই। তারপরও বিষয়গুলো আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
তবে মেসে হানা দেওয়া এবং মেস ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। এ বিষয়ে সুত্রাপুর থানার ডিউটি অফিসার মামুন মাহমুদ বলেন, আমাদের পুলিশ গেলে আমরা জানতাম। এ ধরনের কিছু জানা নেই। আর পুলিশ গেলে ইউনিফর্মে যাবে। পুনরায় গেলে থানায় খবর দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।

সূত্র: সমকাল

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।