প্রচ্ছদ অপরাধ ও বিচার ভোরে দিতে বলায় স্ত্রীকে হত্যা করে পাষণ্ড স্বামী, অতঃপর…

ভোরে দিতে বলায় স্ত্রীকে হত্যা করে পাষণ্ড স্বামী, অতঃপর…

অপরাধ ও বিচার: কুমিল্লায় খালেদা আক্তার নামে গৃহবধূকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মো. মোজাম্মেল হোসেন রাজুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মোজাম্মেল হোসেন রাজু জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শাটিষক গ্রামের নুরুন্নবী ওরফে নুর আলমের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পূর্ব দৈয়ারা গ্রামের খালেদা আক্তারের সঙ্গে মো. মোজাম্মেল হোসেন রাজুর পরিচয় ও সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে মীম নামে তাদের তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। রাজু বেকার থাকায় বিয়ের পর থেকে খালেদা আক্তার তার শিশু সন্তান মীমকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর মোজাম্মেল হোসেন রাজু তার শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসে। পরদিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠে গোসলের পর ভিকটিম তার স্বামীকে ভেজা কাপড় ধুয়ে দিতে বলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাজু খালেদার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ পুকুর ঘাটে ফেলে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোবারক হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সোহেল রানা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজুকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর রাজু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এ মামলায় ২০১৯ সালের ৩০ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মোজাম্মেল হোসেন রাজুর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেন বিচারক।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কুমিল্লার অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. আমিনুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম বলেন, রায়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে। আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।