প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমসের মুবিন চৌধুরীর ভাগ্যে কি...

ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমসের মুবিন চৌধুরীর ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী শমসের মুবিন চৌধুরী বীর বিক্রম। জল্পনা কল্পনা ছিল আওয়ামী লীগ আসন ছেড়ে দিবে শমসের মুবিন, এখন পর্যন্ত সেরকম কিছু লক্ষ করা যাচ্ছেনা। শমসের মুবিনের সমর্থকরা এখন পর্যন্ত আশাবাদী। শমসের মুবিনের প্রচারণা সভা সমাবেশ হাঁতে গোনা কয়েকটি এ পর্যন্ত হলেও তিনি নিজেও মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভোটের মাঠে কোন কোন কেন্দ্রে তৃণমূল বিএনপির কোন সমর্থক ও খুঁজে পাওয়া যায়নি। সব মিলে নিজের এলাকার কেন্দ্রে জয়যুক্ত হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনেকের সন্দেহ রয়েছে।

নুরুল ইসলাম নাহিদ তখন প্রচারণায় ব্যস্ত। ঢাকায় যেতে হঠাৎ কেন্দ্রের তলব। গোলাপগঞ্জের লক্ষণাবন্দ থেকে সোজা ধরলেন এয়ারপোর্টের পথ। দুপুর ১২টার ফ্লাইটে ঢাকায় গেলেন। গোলাপগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন- ৪০ মিনিটের বৈঠক হলো ঢাকায়। বৈঠক শেষে বিকালে তিনি যখন বের হলেন তখন সিলেটে থাকা নেতাদের ফোনে জানিয়ে দিলেন- ‘আমি নির্বাচন করবো।’ তার এই নির্দেশের পর উৎকণ্ঠায় থাকা নেতারা ফের মাঠে নেমে পড়লেন।

ভোটের প্রচারণায় নানা খবর বাতাসে ভেসে বেড়ায়। তার আসনে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ার‌্যামান শমসের মুবিন চৌধুরী। আলোচনা চলছে তাকে নিয়েও। তৃণমূল বিএনপি’র নেতারা মনে করছেন- নাহিদই বাধা শমসের মুবিনের।

এদিকে, এবারের সিলেটের ৬টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে সিলেট-৬ আসনের দিকে তাকিয়ে আছেন সবাই। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন, সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম উদ্দিন। এই চারজনই হচ্ছে হেভিওয়েট প্রার্থী। ভোট করতে প্রার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ফলে আসনটিতে খোদ তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী প্রার্থী হওয়ায় যেকোনো নাটকীয়তা ঘটতে পারে বলে ভোটারসহ রাজনৈতিক মহল মনে করছেন। এ কারণে হঠাৎ করে নাহিদের ঢাকা সফর নিয়ে নানা জল্পনা ডালপালা মেলে। নাহিদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন- দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ডাকে তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। গতকাল বিকাল ৩টার দিকে কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠক হয়। বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটি জানা যায়নি। তবে- বৈঠক শেষে তিনি নেতাকর্মীদের ভোটের মাঠে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। এবং নির্বাচন করবেন বলেও ঘোষণা দেন। অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী ঢাকা সফরে কার সঙ্গে কোথায় আলোচনা করেছেন সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দলের নেতারা শমসের মুবিনের ঢাকা সফরকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে জানিয়েছেন। তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন; হঠাৎ ঢাকা সফরে গিয়ে ‘চাঙ্গা’ হয়ে এলাকায় ফিরেছেন শমসের মুবিন চৌধুরী। নির্বাচনে জয় ঘরে তুলতে মাঠে দুর্বার গতিতে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি। অথচ ঢাকা সফরের শমসের মুবিন চৌধুরীকে এতটা আত্মবিশ্বাসী দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে এই আসনে মাঠ জরীপে দেখা যায় নৌকার নুরুল ইসলাম নাহিদ ও স্বতন্ত্র সরওয়ার হোসেনের মধ্যে ভোটের লড়াই হবে। আঃলীগের তৃণমূল নেতা কর্মীরা চায় দালাল খলিফা মুক্ত এমপি সেই স্লোগানকে সামনে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেনের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কোন নাটকীয়তার মাধ্যমে যদি তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমসের মুবিন চৌধুরীকে সমর্থন দিয়ে দেয়া হয় বা আঃলীগের প্রার্থী নৌকা নিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ থাকেন কেউ ই স্বতন্ত্র সরওয়ার হোসেনের ঈগল মার্কাকে আটকানো কষ্টসাধ্য হবে বলে মনে করেন সাধারন জনগন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেনের প্রতিটা নির্বাচনী সভা থেকে সাধারন বক্তারা অভিযোগ করতে দেখা যায় আঃলীগ প্রার্থী নুরুল ইসলামের নেতা কর্মীরা ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছেন আবার অনেকে বলে বেড়াচ্ছেন কেন্দ্রে গিয়ে লাভ নেই রেজাল্ট হয়ে ই আছে। সেইসাথে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে অনেক ধরনের গুজব ছড়াতেও দেখা যাচ্ছে। সরওয়ার হোসেনের কর্মীরা বলছেন এবার অটোফাশের দিন শেষ যে কোন কিছুর বিনীময়ে কেন্দ্র পাহারা দেয়া হবে আর হুমকি ধামকি যারা দিচ্ছে তাদের প্রতিহত করা হবে। গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।